সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রতিবারের ন্যায় প্রথম আলো বন্ধুসভা নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে ‘আনন্দ ভ্রমণ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার দিনব্যাপী এই আনন্দভ্রমণের আয়োজন করা হয়। এদিন সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বন্ধুরা যাত্রা শুরু করে টাঙ্গাইলের মহেড়া জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে।
বাসযাত্রার পর শুরু হয় বন্ধুদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। দুপুর নাগাদ নারায়ণঞ্জের বন্ধুরা পৌঁছে যায় মহেড়া জমিদার বাড়িতে। এরপর সবাই ঘুরে ঘুরে দেখে ১৮৯০ দশকের পূর্বে স্পেনের কর্ডোভা নগরীর আদলে প্রতিষ্ঠিত মহেড়া জমিদার বাড়ির নানা কোণ।
জমিদার বাড়ির সামনে প্রবেশ পথের আগে ‘বিশাখা সাগর’ এবং বাড়িতে প্রবেশের জন্য ২টি সুরম্য গেট। মূল ভবনের পেছনের দিকে পাসরা পুকুর ও রাণী পুকুর নামে দুইটি পুকুর এবং শোভাবর্ধনে সুন্দর ফুলের বাগান। বিশাখা সাগর সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বের আম্রকানন এবং শিশু পার্ক। চৌধুরী লজ, মহারাজ লজ, আনন্দ লজ নামে বিশাল তিনটি প্রধান ভবনের সাথে অনান্য স্থাপনা–এসব দেখে সবাই বিস্মিত হয় এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।দুপুর শেষে যাত্রা শুরু হয় টাঙ্গাইল শহরের উদ্দ্যেশে। সেখানে স্বাগত জানায় টাঙ্গাইল বন্ধুসভার সাবেক সহসভাপতি রমিজ মাহমুদসহ অন্যান্য বন্ধুরা।
দুপুরের খাবার শেষে মাওলানা ভাসানীর স্মৃতিধন্য সন্তোষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দ্যেশে রওয়ানা হয় সবাই।বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্ত্বরে স্বাগত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বন্ধুসভার সভাপতি সোহেল রানা, সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাফাতুল হক, ক্রীড়া সম্পাদক আফিয়া হুমায়রা রিপা দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক পুলক দাসসহ অন্যান্য বন্ধুরা। সেখানে “প্রত্যয় ৭১” ভাস্কর্যের পাদদেশে হয় তিন বন্ধুসভার মিলন মেলা।
বন্ধুরা ঘুরে ঘুরে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনাসহ মাওলানা ভাসানীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্মিত ঐতিহাসিক দরবার হল, প্রখ্যাত সুফি সাধক পীর শাহ্ জামানের নামানুসারে পীর শাহ্ জামান দীঘি, মাওলানা ভাসানীর মাজার, এবাদতখানা, সে সময়ে বসবাস করা ঘরের আদলে ছোট্ট কুড়ের ঘর, মাওলানা ভাসানীকে মাওসেতুংয়ের উপহার দেওয়া ট্রাক্টর, মসজিদসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।
এরপর সবাই যখন কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও ক্যাফটেরিয়ার সামনে আসে তখন শেষ বিকেল। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বন্ধুরা চা–চক্রের আয়োজন করে ক্যাফটেরিয়ায়। চা খেতে খেতে সবাই সবার সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করেন। যখন সন্ধ্যা নামে তখনই যেন মনে হয় বেজে ওঠে বিষাদের সুর! টাঙ্গাইলের বন্ধুদের উষ্ণ আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে নারায়ণগঞ্জ সভার বন্ধুরা গাড়িতে ওঠে। এর আগে টাঙ্গাইল ও বিশ্বদ্যিালয় শাখা বন্ধুসভাকে উপহার দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ বন্ধুসভার বার্ষিক প্রকাশনা ‘পাললিক’। টাঙ্গাইল গিয়ে বিখ্যাত চমচম স্বাদ না নিলে ভ্রমণটা যেন অপূর্ণই থেকে যায়। তাই পাঁচআনি বাজার থেকে চমচমের নিয়ে সাবাই রওনা হয় নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে। আসতে আসেতে চলে লটারির ড্র।
আনন্দ ভ্রমণে ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ বন্ধুসভার সভাপতি রাসেল আদিত্য, সাবেক সভাপতি সাব্বির আল ফাহাদ, সাধারণ সম্পাদক উজ্জল উচ্ছ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক মিরাজ রেজা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান, উপ–সাংগঠনিক সদস্য বেলায়েত হোসেন, নারী বিষয়ক সম্পাদক আফসানা আক্তার, যোগাযোগ সম্পাদক হান্নান সোয়ান, মানব সম্পদ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সৌরভ হোসেন সিয়াম, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পরিবেশ সম্পাদক তাহমিনা আক্তার, ক্রীড়া সম্পাদক বোরহান উদ্দিন শান্ত। সদস্য– জহিরুল ইসলাম মিন্টু, রুম্পা রেজা, মৌন লাকি, শাহজাহান দোলন, মো. নাঈম গাজী, নুসরাত জাহান সুপ্তি, হাফসা আক্তার। তরুণ সংবাদ কর্মী– সাবিত আল হাসান, মাহফুজুর রহমান, শিক্ষক– ইব্রাহিম খলিল, সায়েম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার আবির হোসেন রনি প্রমুখ।