আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

না’গঞ্জের বাজেট প্রত্যাশা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী নেই বাজেটসীমা কিন্তু সামাজিক নিরাপত্তা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নির্ভর করে মানব সম্পদ গঠনের বিষয়টি। দেখা যায় এসব খাতে বরাদ্দ বাড়লেও মোট দেশজ উৎপাদন ( জিডিপি) অনুপাতে কমেছে। ১৫৭ টি দেশের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশে বর্তমান মানব সম্পদের অবস্থান ১০৬ তম। আরো দেখা যায় দক্ষতার অভাবে বার্ষিক উন্নয়ণ কর্মসূচি (এডিপি) মাধ্যমে খাতের বরাদ্দ ৯০ থেকে ৯২ শতাংশের বেশি খরচ পাওয়া যায় না।

সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চলতি অর্থ বছরে ১৬ ধরনের কর্মসূচিতে ২৭ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে বলে জানা যায়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চলতি অর্থ বছরে ২৩ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও শুনা যাচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রপ্তানিকারদের জন্য ভর্তুকি ৪ হাজার ৫০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দের মধ্যে সাধারণ ভুর্তিকির আকার ৪ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৫০০ কোটি বরাদ্দ হয়েছে পাটদ্রব্য রপ্তানিতে। রপ্তানিতে বর্তমানে বিভিন্ন হারে ২৬ শ্রেণিতে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেওয়া হয় এবং এই হারের পরিমান ২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। যেমন প্রচলিত বাজারের বাইরে নতুন বাজারের রাপ্তানির ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ৪ শতাংশ নগদ সহায়তায়। আবার আগর, আতর, আলু, হালাল মাংস বৈচিত্র্যকৃত পাটপন্য রপ্তানিতে দেওয়া হয় ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা।

২৬ শ্রেণির বাইরেও মোটর সাইকেল, টুপি সহ মোট ৯টি পণ্যের সহায়তায় দেওয়া হয় ১০ শতাংশ হারে। পোশাক খাতে ৫ শতাংশ হারে দেওয়া হয় ৫ বছরের জন্য। এছাড়া গরু মহিষের নাড়িভুড়ি শিং সহ রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ, শস্য ও সবজি বীজে ২০ শতাংশ, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বনে ২০ শতাংশ, সফটওয়্যার আইটিএস এ হার্ডওয়ারে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

মহানগর আ্ওয়ামী লীগের আইনজীবী সম্পাদক এড. (পিপি)এস,এম ওয়াজেদ আলী খোকন সংবাদ চর্চাকে বলেন, এই সরকার হচ্ছে জনগণের নির্বাচিত সরকার। সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড মালেশিয়া থেকে বাংলাদেশ হচ্ছে সারা পৃথিবীর একটা মডেল। এখন শুধু এশিয়া নয় সারা বাংলাদেশ থেকে অনেক শিখনীয় বিষয় আছে যে, বাংলাদেশ এত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং সমবন্টনের বাজট এবার দিয়ে ৫ লক্ষ কোটি টাকা। সে বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা শিক্ষা ,স্বাস্থ্য, বিচার, কৃষি সকল ক্ষেত্রে সম বন্টনের ব্যবস্থা করেছে এবং উন্নয়ণমূলক কর্ম কান্ডের জন্য বৃহৎ একটা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি সুন্দর ও সফল বাজেট স¦ার্থক বাজেট সরকার করেছেন। বাজেটে কর্ম পরিধির কথা বলায় হয়ে থাকে। যেমন শিক্ষা ক্ষেত্রে কত টাকা ব্যয় ধরা হবে? এই ব্যয় গুলো কী কী বিষয়ের উপর খরচ করা হবে। শিক্ষকদের বেতন, বয়স্ক ভাতা, কলেজ উন্নয়ন, বইপুস্তক ছাঁপানো এই যে সকল ক্ষেত্রে যেখানে যতটুকু প্রয়োজন বাজেট দেওয়া আছে। যখনি কোনো বাজেটের কোনো ব্যয় এই দিয়ে মিটানো সম্ভব না হলে আবার সমম্পূরন করবে। সরকার বলেছেন কোনো ঘাটতি দেখা দিলে সে ঘাটতি দ্বিতীয় পূরণ করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএমপি সিনিয়র সহ-সভাপতি এড.সাখায়াত বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে অবস্থা ধনীরা ধনী হচ্ছে। সব অর্থ কিছু আওয়ামী লাগের ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের নেতার হাতে পুঞ্জিভুত হয়েছে। সাধারণ মানুষ খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে ৬০% কৃষক রয়েছে। তারা তাদের কৃষি পণ্যেও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। কৃষকেরা যে অর্থব্যয় করে ফসল ফলাচ্ছে তারা তাদের অর্ধেক মূল্য্ও পাচ্ছে না। কৃষদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কৃষদের বাঁচিয়ে না রাখলে দেশে খাদ্যে ঘাটতি দেখা দিবে। যে হারে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে সে হারে শ্রমিকের বেতন বাড়ছে না । ফলে শ্রমিকদের জীবন ধারন করা খুবই কষ্ট হচ্ছে। এদিকে মধ্যবৃত্তরা এই কারনে নিচেও নামতে পারছে না আবার কোথ্ওা সাহায্যেও জন্য হাত্ও পাততে পারছে না । সরকার যে বাজেট করেছেন তা উচ্চ বিলাসী প্রকল্পের জন্যই অধিকাংশ টাকা তারা বরাদ্দ করেছেন। বর্তমানে যে বাজেট সেই বাজেটটা জনবান্ধব হওয়া দরকার। যাতে কৃষক, শ্রমিক এবং সাধারন মানুষের দিকে তাকিয়ে বাজেট হওয়া দরকার। দেশের যে বিচার ব্যবস্থাকে যেভাবে কাজ করা দরকার সেভাবে কাজ করতে পারছে না। মামলা অনেক হচ্ছে কিন্তু মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না আর এর জন্য আরো আইনজীবী, ভবন বাড়ানো দরকার এটা আমার প্রত্যাশা।

নরায়ণগঞ্জ মহানগর বিএমপি সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এড. আব্দুল হামিদ ভাসানী ভূঁইয়া বলেন, সাধারণ মানুষ জাতে সীমিত আয়ের মধ্যে চলতে পারে এটা আমার প্রত্যাশা। এবার জাতে সরকার সিগারেটের উপর বেশি করে কর আরোপ করে এতে করে মানুষ সিগারেট কম খাবে এবং ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাবে। এবং তিনি আরো বলেন ,আমরা দেখে আসছি ধনীদের কল্যানের জন্য বাজেট করা হয়ে থাকে । আমরা চাই কৃষকদের ধান ৮০০ টাকা মণ যাতে না দেওয়া হয় সেদিকে সরকার যাতে নজর দেন । আমাদের দেশে যে সব গাড়ি আছে ১৫০০ সিসির উপরে যেসব গাড়ি গুলো আছে তাদের উপর কর আরোপ করা হোক। কারণ সেসব গাড়ি ধণীরা ব্যবহার করে থাকে। চিনির উপর ট্যাক্স যাতে না বাড়ে। চাল ডাল যেনো একটি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

এড. রেজাউল করিম রোজা বলেন, আমি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে চাই এবারের বাজেটটা যেনো হয় জনগণ সম্পৃক্ত হয়। কিছু শ্রেণির লোক খুব ভালো আছে আবার কিছু শ্রেনির লোক খুব দূরাব্স্থার মধ্যে রয়েছছ। যাদের দূরাবস্থায় আছে তারা হয়তো সামাজিক ক্ষেত্রে লজ্জায় তা প্রকাশ করে না। তারা অনেক কষ্টে জীবন ধারণ করছে। আরেকটা শ্রেণি খুব ভালো অবস্থায় আছে। আমরা চাই স্বাভাবিক ভাবে সাধারন মানুষ খেয়ে বেঁচে জীবন ধারণ করতে পারে। যেকোনো কিছুর মূল্য যাতে না বাড়ে। অথাৎ এবারের বাজেটটা যেনো জনবান্ধব বাজেট হয়।