আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ধর্ষণ মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় চতুর্থ দফায় আরও দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সোমবার (৯ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ সময় আসামি মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আজ যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন- সেলুন ও পরিবহন ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান শান্ত এবং মো. শফিকুল ইসলাম সাগর। এদিন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি ও রতন মিয়া নামে আরও দুজন সাক্ষ্য দেওয়ার সময় নির্ধারণ থাকলেও তারা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় পরে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান আদালত। পরে আসামি মামুনুল হককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের পর তাদের জেরা করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী ন্যায়বিচার পাব।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) নাজমুল হাসান জানান, কঠোর নিরাপত্তায় মামুনুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, রিসোর্টের আনসার গার্ড ইসমাইল ও রিসিপশন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।

তার আগে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সঙ্গে ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেয়া হয়।

উল্লেখ্যে, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন মামুনুল হক।