সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকারের বড় মেয়ে ব্যারিষ্টার মারইয়াম খন্দকার । শুক্রবার ১৩ মার্চ সকালে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মারইয়ামের চাচা নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, নির্বাচনে মারইয়াম পেয়েছেন ৩৮৮২ ভোট। তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে প্রায় ৫৯৯ ভোট বেশী পেয়েছেন। সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন এবং সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল নির্বাচিত হয়েছেন।
সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) প্রার্থী ছিলেন। সভাপতিসহ ছয়টি পদে জয় পেয়েছে সাদা প্যানেল। সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীদের জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে ১৪ পদের মধ্যে সম্পাদকসহ আটটি পদে বিজয়ী হয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত ব্যারিস্টার মারইয়াম খন্দকার পরিবারগত ভাবেই আইনজীবী পরিবারের সদস্য। তার স্বামী ব্যারিস্টার মোঃ মনোয়ার হোসাইন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য। তার নানা অ্যাডভোকেট আজিজুল হক মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। তার পিতামহ বৃটিশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজার ও প্রপিতামহ জুড়ির বিচারক ছিলেন। ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম এর ছোট বোন নুসরাত খন্দকার একজন ব্যারিস্টার ও তার চাচাতো বোন শবনম খন্দকার একজন আইনজীবী। তিনি ২০০৯ সালে আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ লাভ নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা বার এসোসিয়েশনে সদস্য পদ লাভ করেন। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে হাই কোর্টে প্র্যাকটিস করার সনদ প্রাপ্ত হয়ে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সদস্য পদ লাভ করেন। তার পিতার হাত ধরেই তিনি আইন পেশার পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষদের আইনগত অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। বিশেষ করে হস্তশিল্প শ্রমিকদের তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তৈমূর কন্যা জয়ী হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে তৈমূর সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে।