স্টাফ রিপোর্টার: অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপর হামলার মধ্য দিয়ে মহানগর বিএনপি ও সকল অংঙ্গ সংগঠনের উপর আঘাত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। টিপু মহানগর বিএনপিকে সংগঠিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনকে দুর্বল করার জন্যই টিপুর উপর হামলা করা হয়েছে, সংগঠনকে কারা প্রতিহত করতে চায় তারা প্রকাশ্যে এসেছে। টিপুর উপর হামলাকারীদের আগামী তিন দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তিনি।
শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপর হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবীতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আতাউর রহমান মুকুল আর আবুল কাউসার আশা কে আপনারা জানেন। গত ১৬ বছরে আপনারা দেখেছেন এরা বলেছে দল যার যার সেলিম ওসমান সবার। এই আতাউর রহমান মুকুল জাতীয় পার্টি করেছে, এরশাদের জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন। এই সেলিম ওসমানের উপরে হাত রেখে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব বন্দরে এসেছিলো, এই মুকুল, হান্নান, সুলতান, কাউসার গং সেইদিন সেই সমাবেশকে প্রতিহত করতে সিরাজদৌলা মাঠে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলো। মহাসচিবের জনসভা করতে দেয়নি। পরবর্তীতে সোনাকান্দাতে মহাসচিবের সমাবেশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দিপু মনি যখন জিমখানা মাঠে এসেছিলো তখন কাউসার মিছিল নিয়ে সেই সমাবেশে যোগ দিয়ে পা ধরে সালাম করেছে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে উনি সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হয়েছেন। উনি কেমন বিএনপি করেন ওই সময় আওয়ামী লীগের অধীনে সকল নির্বাচন বয়কট করা হয়েছিল। ওই নির্বাচনে তৈমুর আলম খন্দকারকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। এই কাউসার সে সময় নির্বাচনে অংশ নিয়ে কাউন্সিলর হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই মুকুল কি ছিলো? এই পরিবার বিএনপি থেকে অনেক কিছু পেয়েছে। কিন্তু গত ২০০৯ সাল থেকে ২০১১সাল পর্যন্ত বিএনপি করেছেন। এরপর বিএনপির কোন মিটিং মিছিলে তাদের খুজে পাওয়া যায়নাই। ২০২২ সালে যখন মহানগর কমিটি হয় উনারা ষড়যন্ত্র করে ১৫জন দল থেকে পদত্যাগ করেন। বিএনপি থেকে আকরাম সাহেব নির্বাচনে দাড়িয়ে ছিলেন। সেই নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে মুকুল এবং আশার আকরাম সাহেবের এজেন্ট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ছিলো। গত ১৪ বছর মুকুল এবং আশার বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে মামলা দিয়েছে। এখন আবার বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির মহানগরের সদস্য সচিবকে বন্দরে উৎ পেতে থেকে যেভাবে হামলা করেছে হত্যার চেষ্টা করেছে, তার ঘাড়ে চাপাতি দিয়ে কুপ দেওয়া হয়েছে।
সাখাওয়াত বলেন, যারা বিএনপির নাম করে বিএনপিকে কলঙ্কিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে তাদের জায়গা বিএনপিতে হবেনা। যারা এই নৃশংস হত্যার চেষ্টা করেছিল তাদেরকে এই সভা থেকে বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জের মানুষ এবং বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোন অন্যায় মেনে নিবেনা। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে অনেক ধৈয্য ধরেছি নয়তো অনেকের বাড়িঘরে ইট থাকতো না। অবিলম্বে এই হত্যাচেষ্টা কারীদের গ্রেপ্তার করা হোক। কাউসার আপনি আজকে মিছিল করে প্রমান করেছেন গতকাল ওই হামলার জন্য আপনারাই দায়ী, চোরের মায়ের বড় গলা। চোরের মন পুলিশ পুলিশ যার কারনেই মিছিল করেছেন। আজকের যে মিছিল করেছেন সেটা বিএনপির বিরুদ্ধে করেছেন এর দায় দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে সাখাওয়াত বলেন, অবিলম্বে এই দুস্কৃতিকারী আতাউর রহমান মুকুল, আবুল কাউসার আশা, শাহীন আহম্মেদ সৌরভদের গ্রেপ্তার করুন। গ্রেপ্তার না করা হলে এই দায় দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে। এই সমাবেশ থেকে আমরা বলতে চাই আগামী তিনদিনের মধ্যে ওই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল তাদের বিচার করবে। আমরা ভেবেছিলাম গতকাল রাতেই তারা গ্রেপ্তার হবে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে বন্দরের প্রশাসন তাদের দ্বারা ভায়েস্ট। যতই ভায়েস্ট হয়ে থাকেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করুন নয়তো আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবো।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখায়াত হোসেন এখন এর সভাপতি বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবির, মনির খান, রেজা রিপন, আনোয়ার হোসেন আনু, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম আনোয়ার প্রধান, যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।