আজ সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তিন জনই নারী

নবকুমার:

রূপগঞ্জ একটি জনবহুল এবং শিল্প অঞ্চল এলাকা। এখানে রয়েছে নানা সমস্যা এবং সম্ভাবনা। সমস্যাগুলোর সমাধান এবং সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে  উপজেলা প্রশাসন। রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তিন জন ম্যাজিস্ট্রেটই নারী। তারা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) আফিফা খাঁন, ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার। নারী হয়েও দেশের ক্রান্তিকালে এরা সবাই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যা দেখে মুগ্ধ রূপগঞ্জবাসী। করোনাভাইরাস একটি ছোঁয়াচে রোগ। এই ভাইরাস দ্রুত একজনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে প্রবেশ করে । যার কোনো ওষুধ এখন পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি। প্রতিদিন বিশ্বে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে । এমন অবস্থায় সেই অদৃশ্য দানব করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট সারাদিন বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়ান। তাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কোনো ত্রুটি নেই। জনপ্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শ করে তারা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে। ঈদে জনসমাগম এড়াতে জনস্বার্থে  মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। রূপগঞ্জে মসজিদের বাইরে কোনো ঈদের জামাত করা যাবে না। যারা জামাত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। বিনোদন কেন্দ্র ,চায়ের দোকান, শপিংমল বন্ধ থাকবে।

এব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, রূপগঞ্জবাসীর প্রতি অনুরোধ থাকবে বিনা কারণে ঈদের দিন যেনো কেউ ঘর থেকে বের না হয়। জীবনে বেচে থাকলে বহু ঈদ পাওয়া যাবে তখন আনন্দ হবে। এখন দেশের ক্রান্তিকালে আনন্দ নয়। মুসুল্লিদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা কেউ খোলা মাঠে ঈদের জামাত করবেন না। সবাই সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন।

এছাড়া ঐ তিন কন্যার নেতৃত্বে এবং জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় গাউছিয়া মার্কেটে প্রায় ৩ যুগ দখলে থাকা ফুটপাত উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

প্রসঙ্গত প্রতিদিন রূপগঞ্জে বাড়ছে করোনা রোগী। রোগীদের চিকিৎসা , তাদের বাড়ি লকডাউন এবং আক্রান্তের বাড়িতে খাবার পৌছে দিচ্ছে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।