আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তাঁতীবাজারে শ্যাম ঘোষ গ্রেফতার

বিশেষ  বিজ্ঞপ্তি

র‌্যাব-১১ এর অভিযানে ঢাকার তাঁতীবাজার হতে আন্তজার্তিক স্বর্ণ চোরাচালানের অন্যতম হোতা শ্যাম ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ৬টি স্বর্ণের বার ও নগদ ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১০ জুন  বিকালে ডিএমপি ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকায় গ্রেফতার করা হয়।

গত  ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখ র‌্যাব-১১ এর বিশেষ অভিযানে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন মৈনট ঘাট এলাকায় হতে অবৈধ স্বর্ণ পাচারকালে ২০০টি স্বর্ণের বারসহ আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের ০৫ জন সদস্যকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত ২০০টি স্বর্ণের বারের ওজন সর্বমোট ২৩ কেজি ৩২৮ গ্রাম, যার বাজার মূল্য আনুমানিক নয় কোটি টাকা। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে চোরাচালান আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। মামলাটি বর্তমানে র‌্যাব তদন্ত করছে। আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রত্যেকের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে একটি বিষয় উঠে আসে যে এই স্বর্ণের চোরাচালানের অন্যতম হোতা শ্যাম ঘোষ নামের তাঁতীবাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী এবং সে এই পাচারকৃত স্বর্ণের মূল মালিক।

এছাড়াও গত ৩১ মে ২০১৯ তারিখে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ‘‘দিনে কোটি টাকার স্বর্ণ পাচার’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে অবৈধ স্বর্ণ পাচারকারী হিসেবে শ্যামের নামটিও উঠে আসে। উক্ত সংবাদে বলা হয় গত ২৭ মে ২০১৯ তারিখে ১০৩ টি স্বর্ণের বারসহ আব্দুস সালাম নামে এক স্বর্ণ পাচারকারীকে ঢাকা বিমান বন্দরের গ্রিন চ্যানেল এলাকা হতে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করতঃ বিমান বন্দর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। রিমান্ডে আব্দুস সালাম জানায় যে ঢাকার তাঁতীবাজারের জনৈক শ্যাম ও কৃষ্ণা নামে দুই ব্যবসায়ী তার কাছ থেকে চোরাই স্বর্ণ কিনত।

র‌্যাবের তদন্তাধীন এই মামলায় দীর্ঘদিন শ্যাম ঘোষ পলাতক ছিল। অভিযুক্ত শ্যামকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১১ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সর্বশেষ গত ১০ জুন  ডিএমপি ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকা হতে শ্যাম ঘোষ’কে গ্রেফতার করা হয়। মামলায় তাকে দুই দফায় মোট ০৬ দিনের রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। সে আর্ন্তজাতিক স্বর্ণ চোরাচালানের একটি সেন্ডিকেট এর মূলহোতা।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে ০৬ দিনে রিমান্ড শেষে আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে যে সকল তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও তাদের গ্রেফতার করার লক্ষ্যে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।