নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর, নয়াবাড়ী, মদনপুর, কেওঢালা, জাঙ্গাল, লাঙ্গলবন্দ, দড়িকান্দি, সোনাখালী, চৈতি গার্মেন্টস, টিপুরদী স্ট্যান্ডগুলোতে কোন ফুটওভার ব্রীজ না থাকায় নিত্যদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে পথচারী।
এতে করে দূর্ঘটনায় প্রায়ই প্রাণহানীর মত ঘটনা ঘটছে। রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগতিতে আসা বাস ও ট্রাক সহ অন্যান্য যানের আঘাতে গত ৫ বছরে প্রায় শতাধিক মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটলেও ফুটওভার ব্রীজ নির্মানে কোন কার্যকর ভূমিকা সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দেখা যায়নি।
দেখা যায়নি কোন সতর্কতামূলক কার্যক্রম। বিশেষ করে বন্দর উপজেলাধীন মদনপুর বাস স্ট্যান্ডটি বর্তমানে দেশের যোগাযোগ মাধ্যমের একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে মনে করা হয়, আর এ জন্য যানবাহনের চাপে প্রতিনিয়ত যানজট ও দূর্ঘটনা সহ জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। সূত মতে, দেশের পূর্বাঞ্চল ও মদনপুর হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত এশিয়ান হাইওয়ে ব্যবহার করে দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে পূর্ববঙ্গে মালামাল পরিবহনে মদনপুর সর্বসময় ভারী যানের চলাচলে সরগরম থাকে। প্রায়ই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু, নারী, বৃদ্ধ সহ অনেককে রাস্তার মাঝখান দিয়ে পারাপার হতে দেখা যায়। এতে করে রাস্তা পার হবার সময় প্রায়ই মদনপুরে দূর্ঘটনায় পথচারী আহত বা নিহত হবার মত ঘটনা ঘটেই চলেছে।
২০১৬ সালের আগস্টে মদনপুর আল-বারাকা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন ও তার সহযোগি রাস্তা পার হবার সময় ট্রাকের ধাক্কায় আহত হবার ১ দিন পর সালাউদ্দিন মারা যায়। গত জুনে বন্দরের কেওঢালায় স্থানীয় ডাক্তার আফজাল মাগরিব নামায আদায় করতে রাস্তা পার হবার সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মারা যান। এমন বহু প্রাণহানী এ রাস্তায় ঘটে চলেছে বলে জানা গেছে।
বহুবার গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষের এমন নিরব ভূমিকা হতবাক করেছে সবাইকে। অচিরেই এই ১০টি পয়েন্টে ফুটওভারব্রীজ নির্মাণ করার মাধ্যমে জনগণের রাস্তা পারাপারের সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন ভূক্তভোগী সবাই।