নিজস্ব প্রতিবেদক:
পর পর দুটি চাঁদাবাজির মামলার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবার চুরির অভিযোগে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে আশুলিয়া থানায়।
মামলার বাদী রাজধানীর আদাবরের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সৈয়দ সেলিম আহমেদ (৬১)। অনধিকার প্রবেশ, চুরি, ভাঙচুর, ক্ষয়ক্ষতি, হুমকির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। এতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে করা হয়েছে হুকুমের শীর্ষ আসামি।
এর আগে আশুলিয়ায় জমি দখলের চেষ্টা, ভাঙচুরের অভিযোগে জাফরুল্লার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। গতকাল রোববার বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন প্রার্থনা করলে তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুস সালাম।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দীপু বলেন, কোনো চাপের মুখে নয়, বরং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই অভিযোগের সত্যতার ওপর নির্ভর করে মামলা নেওয়া হচ্ছে। কারণ, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন, আইনের চোখে সবাই সমান।
মামলার বাদী সৈয়দ সেলিম আহমেদ আদাবর মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৪ নম্বর রোডের ২১১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা। বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, ‘আমার বাবা সেখানে ৭২ বিঘা জমি ক্রয় করেছিলেন, যার সিংহভাগ দখল করে নিয়েছেন আসামিরা। সেখানে আমাদের সাইনবোর্ড থাকলেও তা ভাঙচুর ও চুরি করেন আসামিরা।’
যোগাযোগ করা হলে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেতে না পেতেই আবার মামলা! কিছুই বলার নেই। সবাই জানেন, কেন কী উদ্দেশ্যে এই মামলাগুলো দায়ের করা হচ্ছে।’
এর আগে ১২ অক্টোবর রাতে চাঁদাবাজি, ভাঙচুর, জমি দখল ও সাইনবোর্ড চুরির অভিযোগে ডা. জাফরুল্লাহসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন আশুলিয়ার ডেণ্ডাবর এলাকার বাসিন্দা হাসান ইমাম।
এর আগে ১৫ অক্টোবর রাতে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে আশুলিয়া থানায় আরেকটি মামলা করেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার খামারহাটি গ্রামের মোহাম্মদ আলী। ওই মামলাতেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জাফরুল্লাহসহ মোট চারজনকে আসামি করা হয়।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে সেনাপ্রধান সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য দেওয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়।
গত ১২ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মেজর এম রাকিবুল আলম একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ওই সাধারণ ডায়েরিটি গত সোমবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।