টি.আই.আরিফ
শরীফ আহম্মেদ টুটুল নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী হওয়ার খবরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মুখে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। টুটুলের প্রতিপক্ষদের দাবি , সে মিটিং, মিছিলে খুব কম যায় । সে রিজভী এবং তারেক রহমানের নাম বিক্রি করে চলে। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ । দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গত দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন শরীফ আহম্মেদ টুটুল। একই অপরাধে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.তৈমূর আলম খন্দকারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তৃণমূল বিএনপির প্রশ্ন টুটুল কেনো বহিস্কার হলো না? রিজভী সাহেব তৈমূরকে বহিষ্কার করতে পারলে টুটুলকে কেনো পারলো না? সে কি টুটুলের কাছে ধরা? এছাড়া টুটুলের সাথে রূপগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক এড. হুমায়ুনের দ্বন্দ্ব । সে রূপগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের বিপক্ষে ছিলো। থানা বিএনপি নেতাদের সাথে দ্বন্দ্ব থাকলে জেলায় গিয়ে সে কি করবে? থানা বিএনপিতে তাকে নিয়ে যে দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা যায় সেটা কি জেলায় গিয়ে পড়বে? এড. হুমায়ুন এবং টুটুলের বাড়ি দাউপুরে। একই ইউনিয়ন থেকে এড. হুমায়ুন জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক। তারা ডাবল পদে । টুটুল রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক । সে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য । দলটির নেতাদের প্রশ্ন সব পদ কি তারা দখলে রাখবে? এছাড়া তিনি দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। টুটুল জেলা বিএনপি সেক্রেটারী প্রার্থী হলে সভাপতি কে? এনিয়ে এলোমেলো বিএনপি। দলটির নেতাদের মধ্যে অনৈক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। তারা থানা, পৌর আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। তাদেরকে নিয়েও আলোচনা দলটির ভিতরে। এখন দেখার অপেক্ষা জেলা বিএনপির সভাপতি -সেক্রেটারী কে হয়। অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কি সহজে তার পদ টুটুলকে ছেড়ে দেবে?
টুটুল গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দল করে আসছি। দলের দায়িত্বে ছিলাম এবং আছি।