আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টিকতে হলে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন করতে হবে

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, ইজারা দেওয়া সরকারি পাটকল কেমন চলছে দেখতে এসেছি। বেসরকারি উদ্যোক্তারা পাটের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারবে কিনা।

এখানে বেশ কর্মচাঞ্চল্য দেখছি। শ্রমিকদের কানে কানে জানতে চেয়েছি তারা কেমন আছে। মালিক শ্রমিক মিলে মিল চালালে, মালিকবান্ধব শ্রমিক ও শ্রমিকবান্ধব মালিক হলে মিল ভালো চলে।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় কেএফডি জুট মিলস্ লিমিটেডের উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

পরিদর্শনকালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, ইউনিটেক্স গ্রুপের মো. আরিফ, সাকিব আহমেদ সিদ্দিকী প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, সরকার ব্যবসা করে না। সরকার ব্যবসা রক্ষা করে। পলিসি নির্ধারণ করা। আরও ১৫টি মিল আছে। সেগুলো বেসরকারি খাতে দেওয়ার দরপত্র জমার শেষ দিন।

মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আমলে পাট ছিল প্রধান আয়ের উৎস। পাটের সুদিন ফিরছে। পাটের সুতা তৈরি হচ্ছে। পাট রফতানির সব আয় ডলারে হবে, শতভাগ ভ্যালু অ্যাডিশন হবে। কৃষক যখন পাট রোপণ করছে, সেটি একেকটি ডলার। পাটকড়ির চারকোল রফতানি করছি। পাট ও পাটকড়ি দুটি রফতানি হচ্ছে।

তিনি বলেন, বেসরকারি উদ্যোক্তারা প্রপোজল দিলে এক মাসে সিদ্ধান্ত দেব। গাছ কাটলে কষ্ট লাগে। উন্নয়নের জন্য গাছে কাটার আগে গাছ লাগান। তাহলে বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব। কারখানার প্রতি ভালোবাসা থাকলে উন্নতি হবে। মেশিনকে ভালো বাসতে হবে, শ্রমিককে ভালো বাসতে হবে। মেশিন মায়ের সমান, মেশিনকে আদার করতে হবে। একটি বেয়ারিং ভাঙলে দ্রুত না বদলালে পুরো মেশিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন করতে হবে।
পাটকল শ্রমিকদের পাওনা প্রসংগে তিনি বলেন, বেশিরভাগ পাওনা পরিশোধ করেছি। আইডি কার্ড, মামলাজনিত সমস্যা নিরসন হলে টাকা পেয়ে যাবেন। টাকা মিলে দিয়ে রেখেছি। বদলি শ্রমিকদের হিসাব, পাট বিক্রির টাকা সব মিলে পাঠিয়ে দেব। সরকার চায় শ্রমিকদের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে দিতে।

ইউনিটেক্স গ্রুপের মো. আরিফ বলেন, সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত পাট শিল্প বেসরকারি খাতে দেওয়া। কেএফডি জুট মিলে ১ লাখ টনে উন্নীত হলে সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার বলেন, আমরা রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন চাই। টাউট বাটপারদের স্থান এখানে হবে না। মিল চালু হলে রাঙ্গুনিয়ার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা হবে।