আজ মঙ্গলবার, ১৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টানবাজার যৌনপল্লি উচ্ছেদ হয়নি, হয়েছে স্থান পরিবর্তন!

# পূণর্বাসন ও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে : এড. তৈমুর আলম খন্দকার
# প্রশাসনের উচিৎ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ : আবদুল হাই
# ফোন ধরেননি শামীম ওসমান

মোঃ মোমিনুল ইসলাম:
উচ্ছেদের ২০ বছর হতে চললো নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ও সমালোচিত টানবাজার পতিতালয়টির। টানবাজার পতিতালয় উচ্ছেদের দুই যুগের সন্ধিক্ষনে নারায়ণগঞ্জ। প্রায় ২০০০ ঘরে ৩৫০০ এর অধিক যৌনকর্মী পতিতাবৃত্তি পেশার সাথে জড়িত ছিলো। যাদের অনেকেই বংশানুক্রমে সেখানে বসবাস করতো। প্রায় ৪০০ বছর ধরে সেখানে পতিতাবৃত্তি পেশাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতিতালয়টি গড়ে উঠেছিলো।

১৯৯৯ সালে জুলাই মাসে কোন প্রকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা ছাড়াই সাধারণ জনগণ ও পুলিশ শেষ রাতে যৌনকর্মীদের ওপর হামলা করে এবং তাদের সেখান থেকে বের করে দেয়। উচ্ছেদের দীর্ঘ সময়ের পরও আলোচিত টানবাজার পতিতালয় নিয়ে এখনো যেন আলোচনার শেষ নেই। ২০ বছর পরও নারায়ণগঞ্জবাসীর মনে একটি প্রশ্নই ঘুর ঘুর করছে, আর সেটা হলো টানবাজার পতিতালয় উচ্ছেদ হয়েছে তবে কি এর অশ্লিলতা কমেছে? টানবাজার পতিতালয় উচ্ছেদের পর এর সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের কি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে পূর্নবাসন করা হয়েছে? কিংবা পতিতালয়ের সাথে যারা সম্পৃক্ত ছিলো তাদের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিলো?

যৌনপল্লিটি যখন তুলে দেয়া হয়, তখন এর উচ্ছেদ পরবর্তী অবস্থা নিয়ে কেউ খুব একটা ভেবেছে বলে মনে হয় না। যারা চোখকান খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করে, তারা নিশ্চই খেয়াল করেছে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা শহরের আনাচে-কানাচে তখন যৌনকর্মীতে ভরে গিয়েছিল এবং এটা এখনো চলমান। সেই দিন ১৯৯৯ সালে নারায়ণগঞ্জের জন সাধারণ আর পুলিশের সহায়তায় হয়তো টানবাজার নামক যৌনপল্লী উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে কিন্তু এর সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পূর্ণবাসন কিংবা আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি যৌনপল্লী উচ্ছেদ হলেও সংশ্লিষ্ট জড়িত ব্যক্তিরা সমগ্র নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া মহল্লাগুলোতে ছোট পরিসরে একেকজন একটি করে মিনি টানবাজার যৌনপল্লী তথা পতিতালয় প্রতিষ্ঠা করেছে!

উচ্ছেদ পরবর্তীতে টানবাজার যৌনপল্লির সাথে সম্পৃক্ত মানুষগুলো শুরুতে জোরে ধাক্কা খেয়েছে বটে তবে তারাতো কারিগর! কেননা টানবাজার পতিতালয় এমনি এমনি আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি, দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে যে বিশাল পরিচয় তুলে ধরেছিলো তার পেছনে কারিগর ছিলো এর সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা।

কবি সুফিয়া কামাল গনমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি আর কী বলব? ৩০-৩৫ বছর আগের কথা মনে পরে। তখন আইয়ুব খানের আমল। পতিতাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে একটা কমিটি করা হলো। অনেকেই ছিলেন। আকবর কবীর ছিলেন, ডা. নন্দী ছিলেন আমিও ছিলাম। আরও অনেকে। পূর্ব পাকিস্তান, পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন পতিতালয়ে ঘুরেছি। কত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিষ্কার মনে আছে একজন ডাক্তার আমাকে বলেছিলেন, বাড়ি বানাতে হলে আপনারা ড্রেন রাখেন না? পতিতালয়গুলো সমাজের ড্রেন। এটা বন্ধ করতে গেলে ময়লা উপচে পড়বে’।

টানবাজার যৌনপল্লি প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, আজকাল সাহসী লোকেরা সাহস বুকে চেপে ঘরে বসে থাকে। যোগ্য লোকেরা সাত-পাঁচ ভেবে কোনো কিছুতে জড়াতে চায় না। এভাবে হবে? সমাজে এতলোক অথচ একটা পুরুষ মানুষের যেন কিছু যায় আসে না? কেউ মুখ ফুটে অন্যায়ের প্রতিবাদ করলো না। প্রতিকারের পথ দেখালো না। মেয়েদের পক্ষে দাড়ালো শুধু মেয়েরাই। মেয়েরা নিজেরাই প্রতিবাদ করেছিলো, করেছিলো মিছিল। কিন্তু এ মেয়েরা তো শুধু প্রতিবাদই করতে পারবে। প্রতিকারের ক্ষমতা তো এদের হাতে নাই।

আলোচিত টানবাজার পতিতালয় ইস্যুতে নগরবাসী মনে করেন, উচ্ছেদের পূর্বে নারায়ণগঞ্জের অশ্লীলতা ঐ একটি স্থানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পতিতালয়টি উচ্ছেদের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা ঐ একটি স্থানকে উচ্ছেদ করে সমগ্র নারায়ণগঞ্জকে একটি পতিতালয়ে স্থানান্তর করেছে। টানবাজার পতিতালয় উচ্ছেদ হয়নি, বরং তা স্থান পরিবর্তন করে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার ভিতরে একাধিক ব্রাঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেছে বলে নগরবাসী মনে করে।

অপর দিকে উচ্ছেদের পর টানবাজার পতিতালয়ের সাথে সম্পৃক্ত কিছু সংখ্যক পতিতা নারায়ণগঞ্জের কালীরবাজারস্থ কয়েকটি আবাসিক হোটেলে পতিতাবৃত্তি পেশা পরিচালনা করে আসছিলো। তখন একটু একটু করে জমে উঠছিলো নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলের রমরমা বাণিজ্য। সমাজের কথিত ভদ্র, সভ্য মানুষগুলো টানবাজার পতিতালয়কে হারিয়ে যে ব্যাথায় ব্যথিত ছিল; নারায়ণগঞ্জের আবাসিক হোটেলগুলোর কল্যানে সেই ব্যাথা কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছিলো!

নগরবাসী আরও মনে করেন, যৌন পল্লী উচ্ছেদের বিষয়টি পূর্ব থেকে ভেবে চিন্তে নেয়া উচিৎ ছিলো। কারন হিসেবে তারা মনে করেন, যৌন পল্লী উচ্ছেদ করে কোন লাভ হয়নি বরং আরও বেশী ক্ষতি হয়েছে। কেননা এখন শহরের অলিতে-গলিতে, পাড়া-মহল্লায় এবং বিভিন্ন ফ্লাটে তৈরী হয়েছে হাজারো যৌনপল্লী। আর এর কারণ মূলত টানবাজার পতিতা পল্লী উচ্ছেদ। তাই বলে কোন নির্দিষ্ট স্থানে পতিতা পল্লী থাকবে এটাও তারা মনে করেন না।

কিন্তু যখন পতিতা পল্লী উচ্ছেদ করা হয় তখন পতিতাদের নির্দিষ্ট পুর্নবাসন এবং পতিতাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার প্রয়োজন ছিলো। এখন পতিতা পল্লী নেই তাতে কি? জেলা জুড়ে অবাধে গনধর্ষন হচ্ছে। ৫বছরের শিশু ধর্ষন হচ্ছে। ৮বছরের শিশু ও ৫৫বছরের বৃদ্ধা বলাৎকার হচ্ছে। তাহলে লাভ হলো কী? নারায়ণগঞ্জে কিছু দিন পরপর মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও ঘটছে হৃদয় বিদারক হাজারো ঘটনা।

নগরবাসী মতে, যেখানে জিনা বৃত্তি হয় সেখানে খোদার গজব নাজিল হয়। সে দৃষ্টি থেকে আবার ইসলামচর্চার দেশে এগুলো অনেক বড় অপরাধ। এখন কথা হলো হয়তো তাদের উচ্ছেদ করে পুরোপুরি পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা কিংবা শহরের সকল অমানবিক ঘটনা গুলো যারা ঘটাচ্ছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তারা মনে করেন।

২০১৪ সনের ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাউছুল আজমের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দুটি হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে সীলগালা করে দেওয়া হয়। ঐ অভিযানে হোটেল দোয়েল থেকে ১৮ জন পতিতা ও ২জন খদ্দেরকে মোট ২৩ হাজার ৮’শ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া হোটেলের ২ কর্মচারীকে ৭ দিন করে জেল দেওয়া হয়। অভিযান পরিচালনা কালে হোটেলের একটি রুম থেকে সরকারি তোলারাম কলেজের এক ছাত্র ও তার প্রেমিকাকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়।

তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাউছুল আজমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে যে ১৮ জন পতিতাদের আটক করা হয়েছিল তাঁদের শুধু জরিমানা করা হয়েছে কিন্তু এই পতিতাবৃত্ত থেকে বের হয়ে আসার জন্য কিংবা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য তেমন কিছুই করা হয়নি। যার ফলশ্রুত বর্তমান নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া-মহাল্লার ফ্ল্যাট গুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়!

সচেতন নাগরিকদের মতে পতিতাবৃত্তি আদি পেশা, যদিও সামাজিক বা ধর্মীয় কারণে এই দেশে এই পেশাটাকে বৈধতা দেয়াটা কঠিন। টানবাজার যৌনপল্লিটি উচ্ছেদ হয়েছে কিন্তু তাই বলে যৌনকর্মীদের সংখ্যা কমেনি, কমেনি খদ্দেরের সংখ্যাও। পুলিশ টু পাইস দিয়ে পুলিশের সহযোগিতাতেই চলে এই পেশা, সেটা সবারই জানা!

অনেকের মতে, এই শহরে যৌনপল্লী দরকার। কেননা যৌন ক্ষুদা মানুষকে হিং¯্র করে তোলে। যখন এই হিং¯্রতা মানুষকে জেকে বসে তখন তার মধ্যে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা বিধায় তার হাত থেকে রক্ষা পায়না অবুঝ শিশু থেকে শুরু করে মৃত্যু পথযাত্রীরাও। বিগত কয়েকদিনে বলাৎকার ও ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনাও সংঘটিত হতে দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জে।

পতিতালয়ের জন্য কোন এলাকা কখনো কোনো সরকার নির্ধারণ করেনি। পতিতালয় রাখা বা ব্যবস্থাপনা করা বা ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করা বা কোনো স্থানের ইজারাদার বা ভাড়াটিয়া বা দখলদার বা অধিকারী বা জমিদার বা ভাড়া প্রদানকারী কর্তৃক কোনো স্থান পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার অনুমতি বা সুযোগ প্রদান দন্ডনীয় অপরাধ। একটি বিষয় অনুধাবন করা অত্যন্ত আবশ্যক যে অপরাধ সংঘটনের জন্য কোনো লাইসেন্স দেওয়া যায় না এবং কোনো এলাকাও কোনো সরকার নির্ধারণ করতে পারে না।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন বলেন, প্রথমত ১৯৯৯ সালে পতিতা পল্লি যে উচ্ছেদ হয়েছিলো সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে সেখানে একটি কিন্তু থেকে যায়, আর সেটা হলো পতিতা পল্লী উচ্ছেদ করা যায়না! সমাজের একটি অংশ যখন জীবিকায় রুপ নেয় তখন আপনি চাইলেও সেই জীবিকাকে উচ্ছেদ করতে পারবেন নাহ।

আমাদের বক্তব্যেটি ছিলো এমন যে হকার উচ্ছেদের মতো পতিতা পল্লীতে যারা কাজ করছেন তাদেরকে পুর্নবাসন করতে হবে। তখন যারা রাজনৈতিক ছত্রছায়াতে এসকল কর্মকান্ড করতো তাদের কিন্তু অবশ্যই রাজনৈতিক পরিচয় আছে তথা নারায়ণগঞ্জে সামাজিক পরিচয় রয়েছে। সেসমস্ত লোকগুলোই এখনও পর্যন্ত সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এ ধরনের কার্যক্রম গুলো করছে। অর্থ্যাৎ এই ব্যবসাতে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

তার কারনেই সেই পক্রিয়াটি এখনও চলমান রয়েছে। পতিতা পল্লী তো উচ্ছেদ করতে হবে কিন্তু তার সাথে কারা তাদেরকে দিয়ে এ কাজগুলো করাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। তাদেরকে চিহ্নিত না করে পতিতাদের চিহ্নিত করে কোন লাভ নেই। সুতরাং জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিকি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কিংবা স্বার্থ হাসিলের জন্যই মূলত পতিতা পল্লী উচ্ছেদ করা হয়েছে এ কথাটির সাথে আমি ব্যাক্তিগতভাবেই একমত না। তবে পতিতা পল্লী উচ্ছেদ হয়নি স্থানান্তর হয়েছে সে কথার সাথে আমি একমত।

কারণ টানবাজার পতিতা পল্লী উচ্ছেদ করা হলেও এখন জেলার অনেক জায়গাতে ছোট খাটো পল্লী গড়ে উঠেছে। আসলে অভাব ও আর্থিক সমস্যার কারনেই অনেক মেয়েরা এসকল কাজ গুলো করছে। তাদের পুর্নবাসন করা হলেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাউছুল আযম দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় যখন শুনলাম একটি মেয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পর দুই জন ছেলে তার সম্মানহানী করার জন্য নারায়ণগঞ্জের শহরে একটি রেষ্টুরেন্ট হোটেলের পিছনে গড়ে উঠা আবাসিক কামড়ায় নিয়ে যায় সেটি আমার কাছে খুবই দুঃখ জনক ঘটনা ছিল।

তাই পরবর্তীতে আমি দায়িত্বে থাকাবস্থায় এ সকল কর্মকান্ডকে বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু সেই সময় কেউ আমাকে সহায়তা করেনি। পরবর্তীতে অনেকেই সহায়তা করেছে। নাঃগঞ্জে অনেক জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ অনেকেই আছেন। তারা কার্যকর ভূমিকা গ্রহন করেন তাহলে বর্তমানে গড়ে উঠা যে সকল ক্ষুদ্র পতিতালয় রয়েছে সেগুলো বন্ধ করা সম্ভব।

যৌনপল্লি প্রসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এড. তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, সংবিধান অনুচ্ছেদ ১৮(২) কোড গাণিকাবৃত্তি (পতিতাবৃত্তি) ও জুয়া নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

যেহেতু রাষ্ট্রে এ বিষয়ে সংবিধান রয়েছে এবং দেশের ১৭টি চিহ্নিত পতিতাপল্লি রয়েছে এগুলোর বিষয়ে রাষ্ট্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে পতিতাপল্লিতে যারা পতিতাবৃত্তি করে তাদের পূণর্বাসন ও নিরাপত্তার জন্য সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, কেন সে সময় পতিতা পল্লি উচ্ছেদ করা হয়েছিলো এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে, প্রশাসনের উচিৎ এসকল ক্ষুদ্র পরিসর কিংবা ফ্লাটে গড়ে উঠা পতিতা পল্লী গুলোর বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

এ বিষয়ে নারায়ণঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সাথে একাধিক বার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।