নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় পার্টি সমর্থিত সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার নির্বাচনী এলাকা সোনারগাঁয়ে বাঁধাহীনভাবে ইউনিয়ন সম্মেলন করে যাচ্ছে বিএনপি। গত ২৪ মার্চ নয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হয় । ২৫ মার্চ সাদীপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হয় । এর আগে পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হয়। এসব সম্মেলনে হামলা বা বাঁধা দেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
আর এ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূল আওয়ামী লীগ। তাদের দাবি যারা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, যাদের নামে একাধিক নাশকতা মামলা ,তারা কিভাবে সোনারগাঁয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন করে? প্রশাসন কি তাদেরকে চোখে দেখে না? সম্মেলনের নামে বিএনপি যদি আবার নাশকতা করে তাহলে এর দায় নেবে কে?
তারা আরও বলেন, সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের এমপি থাকলে পরিস্থিতি এমন হতো না। এখানে (সোনারগাঁ ) জাতীয়পার্টি বিএনপির সাথে আতাঁত করে চলে। যার ফলে তারা এখন বিনা বাঁধায় সম্মেলন করতে পারছে। আর যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের ঘর থেকে বের হতে দেয়নি। এর দায় জাতীয়পার্টিকেই নিতে হবে। প্রশ্ন উঠছে সোনারগাঁয়ে বিএনপিকে ঠেকাবে কে? আওয়ামীলীগ নাকি জাতীয় পার্টি। সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তারা হলেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বিরু চৌধুরী –। তারা এখন নিরব। রাজনীতি সচেতন মহলের প্রশ্ন শাসক দল কি সোনারগাঁয়ে রাজনীতির মাঠ দখলে রাখতে পারছে ? নাকি বিএনপিকে তারা সুযোগ করে দিচ্ছে। এসব বিষয়ে নেতাদের সাথে কথা হলে তারা পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথা বলেন। অনেকের মুখে দিয়ে বেড়িয়ে আসছে স্থানীয় সাংসদের সাথে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার দ্বন্দ্বের কথা।
অপরদিকে জেলা বিএনপির এক নেতা জানান ভিন্ন কথা। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন , নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সোনারগাঁয়ে বিএনপি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আজহারুল ইসলাম মান্নান সব ঠিক করে ফেলছে। অন্য এলাকায় হলে তিনি সম্মেলন করতে পারতে না। সেখানে সুনাম ধন্য এক শিল্পপতির শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই শিল্পপতি তাকে (মান্নান) সাপোর্ট দেয়। তবে এসব ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আজহারুল ইসলাম মান্নানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এক অনুসন্ধানে জানা গেছে সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগ -জাতীয়পার্টির চেয়ে বর্তমানে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হচ্ছে বিএনপি।