আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের নামে হয়রানি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
জনসাধারনের ভোগান্তির আরেক নাম হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন। পরিচয় পত্র সংশোধনের নামে হাজারো মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে।

সংশোধনের নামে দিনের পর দিন সময় পার করছেন ভোক্তভোগীরা। দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকেও সংশোধন করতে পারছেনা তাদের সমস্যা। একটি ভুল সংশোধনের জন্য দফায় দফায় দৌড়াতে হয়। একদিন এই দরজা আরেকদিন ঐ দরজা এভাবেই সময় পার করতে হচ্ছে। তারপরও সেবা পাচ্ছেনা মানুষ।

এছাড়াও মানুষের সেবা দেয়াতো দূরের কথা, ভোক্তভোগীদের বাইরে রেখে নির্বিকার বসে থাকছেন অফিস কর্মকর্তারা। অনেকেই আবার ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ব্যবহারে ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন। এদিকে কয়েক বছর ঘুরেও সমাধান না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকেই। কোথায় যাবে…. কার কাছে যাবে… আরো কতোদিন ধরে কতো চক্কর কাটতে হবে….ভুল সংশোধন হবে কিনা এসব প্রশ্নের জবাব দেয়ারও কেউ নেই।

সমাধানের আশায় দিনের পর দিন মাসের পর মাস কখনো বছর ধরে নারায়নগঞ্জ জেলা নির্বাচনী অফিসের কার্যালয়ে ঘুরছে মানুষ। সমাধান না পেয়ে রাগ ও ক্ষোভ থাকলেও শেষ পর্যন্ত নিরুপায় সবাই। অন্যদিকে তথ্যকেন্দ্রটিতে কারো দেখা মিলছেনা। জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুলের কারণে ভোগান্তিতে পড়া ভোটারদের সেবা দেবার বদলে মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে। কারও নামের একটি অক্ষরে ভুল, কারো বয়সের সংখ্যায় হেরফের। আবার কারো ঠিকানা বদল। এরকম জটিলতায় পড়া দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ চাহিদা অনুযায়ী সব তথ্য দেয়ার পরও জটিলতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না।

কর্মকর্তারা বলছেন সংশোধন হবে তবে সময় লাগবে। তারা আরো বলছেন ভোটার আইডি কার্ড ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে যারা আবেদনপত্র এখানে জমা দিয়ে ঘুরছেন তারা কবে নাগাদ সঠিক পরিচয়পত্র পাবেন সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না কেউ। তাই এ সমস্যা সমাধানে মানুষ একটু স্বস্তি চায়। মানুষ চায় অতিদ্রুত যেন ভুল সংশোধনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড তার হাতে পৌছায়। এজন্য ভোক্তভোগীরা নির্বাচন অফিসের প্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।