বেনাপোল প্রতিনিধিঃ প্রজনন ছাগল পেলে প্রতিদিন আয় হয় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। এমন একটি পরিবার এর সন্ধান মিলেছে বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর রেল লাইন এর বস্তিতে। আবুল কালাম এর বাড়িতে প্রজনন কাজে নিয়োজিত আছে ৮টি দেশী বিদেশী জাতের ছাগল। পালিত প্রজনন ছাগলের সর্বোচ্চ বড়টির মুল্য দেড় লক্ষ টাকা আর প্রকার ভেদে ৮০ হাজার ৬০ হাজার ও সর্বোনি¤œ ৫০ হাজার টাকা মুল্য।
শনিবার বেলা সাড়ে ৪ টার সময় আবুল কালামের বস্তিতে জেয়ে দেখা যায় ৮ টি ছাগলের তদারকি করছে সে এবং তার পরিবার। আবুল কালাম বলেন বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা এলাকায় যারা ছাগল পালে তারা প্রজননের সময় হলে আমার কেন্দ্র আসে। কারন আমার এখানে সব থেকে বড় জাতের ছাগল। আমি ভারত থেকে তোতা জাতের ছাগলটি ভারতীয় টাকায় ৮০ হাজার রুপীতে ক্রয় করেছি। বর্তমানে ছাগলটির মুল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। তিনি বলেন সে ৩০ বছর যাবত এ ব্যবসা করছে। তার পরিবারের ১২ সদস্যর ভরন পোষন চিকিৎসা সহ অন্যান্য খরছ এই ছাগল থেকে আয় হয়। বড় ছাগটির প্রজনন ফি ৫ থেকে ৭ শ’ টাকা। আর অন্যান্য ছাগলের প্রজনন ফি ৩ থেকে ৫ শত টাকা।
আবুল কালাম বলে সকাল থেকে ছাগলের পিছনে তার সময় কাটে। ছাগলের খাবার সপ্তাহে ১ দিন গোছল সহ প্রজনন কাজে তাকে এ সময় ব্যায় করতে হয়। তবে তার সাথে তার পরিবারের সদস্যরা ও তাকে সময় দেয়। আবুল কালামের ভাষ্য ছাগলগুলো খুব দুর্দান্ত। তাদের ঠেকাতে সব সময় শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। ঘর থেকে বের করতে খুব শক্তি প্রয়োগ করা লাগে। দুইজন মিলে একটি ছাগলকে ঠেকিয়ে রাখা খুব কষ্ট। প্রতিদিন ৮ টি ছাগলের পিছনে এক থেকে দেড় হাজার টাকা খাবার খরছ হয় বলে কালাম জানান।
এলাকার জনসাধান জানায় আবুল কালামের প্রজনন ফার্ম থেকে ছোট ছাগলের প্রজনন দিয়ে বড় বড় বাচ্চা পাওয়া গেছে। যদিও ঐ ফার্মের ছাগলের মত অত বড় হয় না। তবে দেশী ছোট জাতের ছাগলের থেকে অনেক বড় ছাগল হয়।