আজ শুক্রবার, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চুরির অভিযোগে দুই কিশোরকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাগল চুরির অভিযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কার্যলয়ে দুই কিশোরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করা হয়েছে। সদর উপজেলার ফতুল্লার পাগলা নয়ামাটি মুসলিম পাড়া এলাকায় গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘছে। আহত দুই কিশোর হলো রাতুল ও নাইম। তাদের মধ্যে নাঈম অটো ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালক।
জানা গেছে, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদার উপস্থিতিতে ওই দুই কিশোরকে পেটানো হয়। ওই সময় কিশোরদের পেটান জিহাদ,ইউনুস,কাবির নামে তিন যুবক।
ঘটনার বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলাউদ্দিন হাওলাদার জানান, একজনের ছাগল চুরি হইছে। এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছিলো। পুলিশ চোরের বাবাকে আমার জিম্বায় দিয়ে ছিলো। আমি তার ছেলেকে আনতে ১ সপ্তাহ সময় দিয়ে ছিলাম। তবে ৫ দিনের মাথায় সে তার ছেলেকে নিয়ে আসে। তার ছেলে রাতুল প্রথমে চুরির কথা স্বীকার করে নাই। পরে পিটুনি দিলে সে চুরির কথা স্বীকার করে। পরে ফতুল্লা থানায় তাদেরকে ছাগলসহ নিয়ে যাই। পেটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এখানে আনার পর কয়েকজন মারধর করছে। তবে আমি তাদের পেটাতে বাধা দিয়ে ছিলাম।
ছাগলের মালিক সফিক মিয়া বলেন, আমার বাগান বাড়ি থেকে ১ টা ছাগল চুরি করে নিয়ে গেছে ৩ জনে। ভিডিও দেখে তাদের সনাক্ত করা হইছে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করি। থানা থেকে উপ-পরির্দশক মুদাসের গিয়ে ছাগল চোর রাতুলের বাবাকে নিয়ে যায় আলাউদ্দিন মেম্বারের অফিসে। পরে মেম্বার ১ সপ্তাহ সময় দেয় তাকে। সে তার ছেলেকে ৫ দিনের মাথায় মেম্বারের অফিসে নিয়ে আসে। ওই সময় রাগে কয়েকজন তাদের পিটিয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরির্দশক মুদাছের বলেন, ছাগল চুরি গেছে এ নিয়ে থানায় একটা অভিযোগ করে ছিলো। ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে এবং আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসলাম হোসেন জানান, ছাগল চুরির ঘটনায় রাতুলসহ আরও একজনকে আমরা আটক করেছি। ছাগলটি উদ্ধার করা হয়েছে মুন্সিগঞ্জ থেকে। তবে মেম্বারের অফিসে মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। তাদের পিটানোর বিষয়েও জানি না।