আজ বুধবার, ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চাষাঢ়ায় আটকে রেখে মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক
শহরের জুয়ার আসরের সর্দার বড় শাহজাহান কে শহরের ৫ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে রোববার সন্ধ্যায় তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ৬ টি মোটর সাইকেলে করে তারা আসে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে চাষাঢ়ায় এনে মারধর করে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। খবর পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহজাহানকে উদ্ধার করে ও তিনজনকে আটক করে। তবে রাত সোয়া বারোটা পর্যন্ত থানায় এ নিয়ে মামলা করতে রাজি হননি শাহজাহান। সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, শাহজাহানও ভালো লোক নয়! সূত্র মতে, প্রভাবশালী দুই রাজনীতিকের পরিবারের সদস্যদের অনুগতরা এ অপহরণ কান্ড ঘটিয়েছে।
আটকৃতরা হলো, পাইকপাড়া এলাকার মৃত. আলাউদ্দিনের ছেলে সানি. দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার মৃত. নাছির আহমদের ছেলে হানিফ ওরফে নাঈম। মুন্সিগঞ্জের দিঘিরপার এলাকার রতন বিশ্বাস। এ সময় আরও কয়েকজন পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। শাহাজাহান থানায় জানান, ৬টি মোটর সাইকেলে করে ৬ জন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাষাঢ়া বেইলী টাওয়ারের পাশে নির্মিত নতুন ভবনের ভেতর নেয়। এরমধ্যে পাইকপাড়া এলাকার সুমন নামের একজনকে চেনে সে। এরপর তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তার পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে পরিবারের সদস্যরা। পরে র‌্যাব ১১ ও সদর মডেল থানা পুলিশ গিয়ে শাহজাহান কে উদ্ধার করে। এসময় ৩ জন কে আটক করা হলে বাকী ৩ জন পলাতক রয়েছে।
সূত্র জানায়, শহরে জুয়ার আসর বসা নিয়ে দুই দলের দ্বন্দ্বে ও চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এ অপহরণ। একপক্ষ দুই প্রভাবশালী রাজনীতিকের পরিবারের এক সদস্যের দ্বারস্থ হলে তার অনুগতরাই বড় শাহজাহানকে অপহরণ করে। তবে র‌্যাবের তড়িত ব্যবস্থায় এ যাত্রা রক্ষা পায় সে। এদিকে রাত সোয়া বারোটা পর্যন্ত এ বিষয়ে সদর মডেল থানায় কোন মামলা হয়নি। শাহজাহান নিজেও মামলা করতে আগ্রহী নয়। অপরদিকে পুলিশও মামলার রুজুর বিষয়ে তেমন তৎপরতা দেখাননি।