সংবাদচর্চা রিপোর্ট :চনপাড়ার ত্রাস মাদক সম্রাজ্ঞী ইয়াসমিন । তার পাপ কাজের শেষ নেই। তার রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। তার সাঙ্গপাঙ্গদের কাছে জিম্মি এলাকার মানুষ। চনপাড়ার এক সময়ের সবচেয়ে বড় মাদকের পাইকারি বিক্রেতা ফজলুর মেয়ে সে। সে ডিগবাজি দিয়ে খালি স্বামী বদলায়। তার ৩ খান বিয়ে হয়েছে। তার প্রথম স্বামী শিকদার চোরের ছেলে রশিদ। পারিবারিকভাবেই তার প্রথম বিয়ে হয়। তার দ্বিতীয় স্বামী মলম পার্টির সরদার আলামিন ঘোড়া। ঘোড়াশাল বাড়ি দেখে সে আলামিন ঘোড়া হিসেবেই পরিচিত। রশিদের ঘর থেকে ইয়াসমিন আলামিনের সাথে পালিয়ে যায়। সেখানে তার ৩ টা সন্তান রয়েছে। দুই ছেলে মেয়ে বিয়ে হওয়ার পরে ইয়াসমিন আলামিন কে তালাক দেয়। এরপর সে প্রভাবশালী শাহাবুদ্দিন শাবুকে বিয়ে করে।
ইয়াসমিন তার বাড়ির ছাদে জুয়ার আসর বসায়। তার তিন ভাই খলিল, মামুন, মাসুম ও ভাগিনা নাসির এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী । তাদের নামে একাধিক মাদক, অস্ত্র সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। ইয়াসমিনের মাদক ব্যবসা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করে তার মামা ৪ নং ওয়ার্ডের জালাল ও তার ছেলে। তাদের নামে মাদক সহ নারী নির্যাতনের মামলা আছে। ইয়াসমিনের মাদক ও নারী ব্যবসা পরিচালনা করেন ১ নং ওয়ার্ডের হাসি। তাদের নামেও রয়েছে মাদকের মামলা।
একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীকে মাসোহারা দিয়ে সে এই কুকর্ম পরিচালনা করে।প্রভাবশালী মহলকে সুন্দরী নারী সরবরাহ করে সব মেনেজ করে ইয়াসমিন।
ইয়াসমিন তার ছোট বোন শারমিনকে দিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে অনৈতিক কাজ করিয়ে সব সময় বাঁচার চেষ্টা করে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে দীর্ঘ দিন যাবত মাদক, জুয়া ও নারী ব্যবসা দিয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী ইয়াসমিন এখন কোটিপতি। জুয়ার আসর থেকে সে টাকা ওঠায়। আসরে সে মাদক এবং সুন্দরী নারী সরবরাহ করে থাকে। ইয়াসমিনের এক ছেলের ইভটিজিং এর কারণে চনপাড়ার বিভিন্ন মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে।তার ভয়ে এসব অন্যায়ের কেউ প্রতিবাদ করতে চায় না। ইয়াসমিনের অন্যায় কাজের কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে ধরে এনে নির্যাতন করে।
তার গাঁজা পাইকারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে ৪ নং ওয়ার্ড এর রাজা। ইয়াসমিনের ভাগ্নের বৌ বাবার ব্যবসা করে।
সংবাদচর্চা অফিস থেকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেষ্টা করেও ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মাদক সহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকার অলি-গলিতে এখন সে মাদক সম্রাজ্ঞী ইয়াসমিন হিসেবে পরিচিত।
চনপাড়ার শিক্ষিত সমাজ বলেন, ইয়াসমিনের অসামাজিক কাজে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে। আমরা তার দ্রুত গ্রেফতার এবং ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী তাদের শাস্তি দাবি করছি। প্রশাসন তাকে গ্রেফতার না করলে আমরা শিক্ষিত সমাজ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব। যতক্ষণ এই ইয়াসমিনরা অধরা থাকবে ততক্ষণ চনপাড়ায় খারাপ কাজ চলতে থাকবে। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আপনারা চনপাড়াবাসীকে তার পাপাচার থেকে মুক্ত করেন।