আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাউছিয়া মার্কেটে দাম বাড়তি

নবকুমার:

রোজার ঈদকে সামনে রেখে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা-গাউছিয়া মার্কেটে পণ্য বেচাকেনা বাড়ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, গাউছিয়া মার্কেটে এখন প্রতিদিন হাজারো খুচরা ব্যবসায়ী ভিড় করছেন। তাদের পদচারণায় মুখর প্রতিটি দোকান। ফলে এখানকার পাইকারি ব্যবসায়ীদের দম ফেলার সুযোগ নেই। গত দুই বছর করোনার কারণে যে লোকসান হয়েছে, এবার বিক্রির মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা। পণ্যের দাম বেশির বিষয়ে এসব পাইকারি ব্যবসায়ীর দাবি, সুতা ও কাঁচামালের দাম অনেক বেড়েছে। ফলে কাপড় উৎপাদনে ব্যয় বাড়ায় বাধ্য হয়ে বেশি নিতে হচ্ছে।

সুত্রের খবর গাউছিয়া মার্কেটে প্রায় সাড়ে সাত হাজার দোকান রয়েছে। এসব দোকানে থ্রি-পিস, থান কাপড়, শাড়ি ছাড়াও নানা ধরনের পোশাক পাইকারি বিক্রি করা হয়। সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার এখানে হাট বসে, পাইকারি বিক্রি হয়। আর বাকি দিনগুলোতে খুচরাভাবে বেচাবিক্রি চলে। তবে ঈদ ঘিরে প্রতিদিনই দোকান খোলা হচ্ছে। এ মার্কেটে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, সিলেট, বরিশাল, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ভৈরব, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাপড় কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটের বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর নিজের থ্রি-পিস ও শাড়ি তৈরির কারখানা রয়েছে। তারা বলছেন, কাঁচামাল ও সুতার দাম বাড়ায় প্রতি থ্রি-পিস ও শাড়িতে ৫০-৬০ টাকা বেড়ে গেছে। এ নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কিছুটা দরদাম করতে হচ্ছে।

মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, করোনার কারণে তারা গত দুই বছর ব্যবসা করতে পারেননি। দোকান ভাড়ার টাকাও হয়নি। এবার করোনার প্রকোপ না থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসছেন, বেচাবিক্রিও ভালো। এ ধারা চলতে থাকলে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান তারা।
উত্তরবঙ্গে থেকে কাপড় কিনতে আসা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা এই প্রতিবেদককে জানান , আগেভাগে কাপড় কিনতে এসেছেন। তবে কাপড়ের দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেশি।

মার্কেটে পাইকারির পাশাপাশি খুচরা কাপড়ও বিক্রি হয়। অনেকেই পরিবারের জন্য কম দামে খুচরা থ্রি-পিস ও শাড়ি কিনতে আসেন। এমনি এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সবাই বলে গাউছিয়া মার্কেটে কম দামে ভালো মানের থ্রি-পিস ও শাড়ি পাওয়া যায়। বগুড়া থেকে এসে বাস্তবতা ভিন্ন পাচ্ছি। সবকিছুর দাম বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা।’