আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাইবান্ধার কচুয়া ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বিরুদ্ধে অনাস্থা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে উন্নয়ন কাজ না করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে উন্নয়ন কাজ না করেই ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১২ সদস্য সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে এব্যাপারে অভিযোগ আনে। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন তাদের স্বাক্ষর জাল করে চেয়ারম্যান মাহাবুবর রহমান বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে ২১ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। অভিযোগকারি সদস্যরা হচ্ছেন হাফিজার রহমান, তাজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, রীনা বেগম, মঞ্জুয়ারা বেগম, রেখা বেগম, আইয়ুব হোসেন, শাহাজাহান আলী, গোলজার রহমান, তারা মিয়া, ইছাহাক আলী ও হাবিবুর রহমান। তারা ইতিমধ্যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা প্রস্তাবও এনেছেন।

অভিযোগকারিরা জানান, গত ২ বছরে ইউপি ট্যাক্স বাবদ আদায়কৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে ব্যাংকে জমা রয়েছে মাত্র ৫৪ হাজার টাকা। অপরদিকে জন্ম নিবন্ধন ফি বাবদ গত ১ বছরে আদায়কৃত ২ লাখ টাকা, এডিপি’র খাতে বরাদ্দকৃত ১ লাখ টাকা, রাজস্ব খাত হতে গত বছেেরর ১২ই ডিসেম্বর ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, গত ২৭ ফেব্র“য়ারী ১ লাখ ২১ হাজার টাকা, ২১শে এপ্রিল ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা এবং গত ১৪ই জুলাই ১ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে তিনি আত্মসাৎ করেন।

অপরদিকে, পাঠানপাড়া সরকারি রাস্তার ৭টি গাছ নিলামে বিক্রি করার প্রায় ১ লাখ টাকারও কোন হদিস নেই। এছাড়া গত অর্থবছরে এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত সাড়ে ৪ লাখ টাকা তার নিজস্ব কেজি স্কুলে ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করে কোন সুরাহা না হওয়ায় ইউপি সদস্যরা গত ১৪ই জুলাই এসব অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ্যাপারে তিনি এরিয়ে গিয়ে বলেন, মেম্বারদের নিয়ে খুব শীঘ্রই সমঝোতা হবে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।