অনলাইন ডেস্ক:
স্বাস্থ্য সচেতন যে কোনো মানুষই সকালে ভারী কোনো খাবার খেতে চায় না, আবার অনেকে ক্ষুধা নিয়ে কাজও করতে পারেন না। ক্ষুধাভাবকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই ওজনকে সহজেই নিয়ন্ত্রণের রাখা সম্ভব হবে। এই সমস্যার কিছু স্বাস্থ্যকর সমাধান রয়েছে।
অনেকেই হয়তো জানেন না, খাদ্যাভাসের উপরে ক্ষুধাভাবের ধরনে অনেকাংশে নির্ভর করে। প্রত্যেক দিনের খাদ্যাভাসে যদি এমন কিছু খাবার রাখা যায়, যা ক্ষুধাভাবকে কমিয়ে রাখবে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি কোনো খাবার গ্রহণের সম্ভাবনা থাকে না।
মেথি চা : ২০১৫ সালে ওভারওয়েট নারীদের ওপর কোরিয়ান একটি গবেষণার তথ্য ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন রিসার্চ জার্নালে প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, যারা নিয়মিত মেথি চা পান করতেন তাদের খাবার গ্রহণের পরিমাণ তুলনামূলক কমে গিয়েছিল এবং তাদের ক্ষুধাভাবও কম দেখা দিত বলে ওই জার্নালে প্রকাশ হয়।
বাদাম : একদিকে বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদানে কাজ করে। অন্যদিকে, ক্ষুধাভাবকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম বা আখরোট সাত থেকে আট একবারে খেলে অনেক সময় পর্যন্ত ক্ষুধাভাব দেখা দেবে না।
ফ্ল্যাক্সসিডস : ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ফ্ল্যাক্সসিডস ক্ষুধাভাব দমনে বেশ উপকারী একটি উপাদান। মাত্র এক টেবিল চামচ পরিমাণ ফ্ল্যাক্সসিডস থেকে পাওয়া যাবে ২.৩ গ্রাম ওমেগা-৩ ও ৩ গ্রাম পরিমাণ খাদ্যআঁশ। এছাড়াও ফ্ল্যাক্সসিডস ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের দারুণ একটি উৎস। যা ক্ষুধা নিবারক হরমোন কোলেসিস্টোকাইনিন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় ফ্ল্যাক্সসিডস রাখতে পারেন।
আপেল : বিভিন্ন ফলের মধ্যে আপেল সবচেয়ে পারফেক্ট একটি ফল। যা লম্বা সময় ক্ষুধাভাবকে দূরে রাখতে কাজ করবে। আপেলে থাকা আঁশ ও জলীয় উপাদান এই কাজে সাহায্য করে থাকে।
ওটস : এক বাটি ওটস দীর্ঘসময় পর্যন্ত ক্ষুধাভাবকে দূরে রাখে। তাই সকাল বা বিকালের নাশতায় স্বাচ্ছন্দ্যে ওটসকে রাখতে পারেন। আঁশ সমৃদ্ধ ওটস রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে ক্ষুধাভাবকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।