সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জে হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানা (সেজান জুস) পরিদর্শনে এসে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও তারাব পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিনের ১৭ লাখ টাকার ঘড়ি হারিয়েছে। সংবাদচর্চাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তারাব পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়ার সমর্থকরা আমার একটি রেডো ঘড়ি এবং কিছু টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। ঘড়িটির বাজার মূল্য প্রায় ১৭ লাখ টাকা। বিএনপির অপর একটি সুত্র জানায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে রিসিভ করে সেজান জুস কারখানায় নিয়ে যায় মোস্তাফিজুর রহমান দীপু ভুঁইয়া। দীপু ভুঁইয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য নাস্তার আয়োজন করেন । কিন্তু বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নাস্তা করেন তারাব পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিনের অফিসে। এতে ক্ষিপ্ত হয় দীপু ভুঁইয়া। তার সমর্থকরা নাসির উদ্দির উপর হামলা করে। পরে নাসির উদ্দিনের সমর্থকরা দিপুর সমর্থকদের উপর হামলা করে। এতে দিপুর ৪/৫ জন গুরুত্বর আহত হয়।
সংঘর্ষের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা বিভাগ বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ন উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমূর আলম খন্দকার ছিলো নিরব। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ কয়েকজন নেতা পালিয়ে যায়,দাবি নাসির সমর্থকদের। এসময় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার পর সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ( সেজান জুস নামে পরিচিত ) কারখানাটিতে আগুন লাগে। এতে ৫২ জন নিহত হয়।