আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কামালকে নিয়ে জয়ের স্ট্যাটাস ওরা ক্ষমতার লোভে দুর্নীতিবাজ স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে হাত মেলায়

কামালকে নিয়ে জয়ের স্ট্যাটাস

কামালকে নিয়ে জয়ের স্ট্যাটাস

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোট করার মাধ্যমে ড. কামাল হোসেনের আসল চেহারা সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে  । এই ধরনের মানুষদের ওপর তাঁর বিতৃষ্ণা এসে গেছে মন্তব্য করে জয় লিখেন, তাদের (ড. কামালদের) কোনো নৈতিকতা নেই, সততা নেই, নেই বাংলাদেশের জন্য কোনো ভালোবাসা। ক্ষমতার লোভে তারা দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের হাত মেলাতে পারে স্বাচ্ছন্দ্যে। তারা দেশপ্রেমিক নয়, তারা বাংলাদেশ বিরোধী।

গতকাল সোমবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হল-

‘বিএনপি জামাআতের সঙ্গে জোট করার মাধ্যমে কামাল হোসেনের আসল চেহারা সবার সামনে উন্মোচিত হলো।

তার এক জোটসঙ্গী বিএনপি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিরীহ মানুষদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছে। তার আরেক সঙ্গী জামাআত মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণহত্যায় জড়িত ছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমান আমার মা ও আওয়ামী লীগের ওপর গ্রেনেড হামলার দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী; তাদের সভাপতি (চেয়ারপারসন) খালেদা জিয়াও দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একজন অপরাধী।

১/১১ এর সেনা সমর্থিত সরকার আনার পেছনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিল এই কামাল হোসেন। তার জামাতা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে লড়াই করে গেছেন অনেক বছর আর এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনবরত মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন।

কামাল হোসেনের মেয়ে (ব্যারিস্টার সারা হোসেন) ও জামাতা (ডেভিট বার্গম্যান) উভয়ই বিদেশে বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বিদেশীদের দিয়ে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করানোর উদ্দেশ্যে।

এই ধরণের মানুষদের ওপর আমার বিতৃষ্ণা এসে গেছে। তাদের কোনো নৈতিকতা নেই, সততা নেই, নেই বাংলাদেশের জন্য কোনো ভালোবাসা।

ক্ষমতার লোভে তারা দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের হাতে হাত মেলাতে পারে স্বাচ্ছন্দ্যে। তারা দেশপ্রেমিক নয়, তারা বাংলাদেশ বিরোধী।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি এক সময় আওয়ামী লীগ করতেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে গত শনিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ও নাগরিক ঐক্যও রয়েছে এই জোটে।