নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষকদের অনিয়ম, দুর্নীতি, গ্রুপিং, কোচিং বানিজ্য, শ্রেনি কক্ষে অনিয়মিত পাঠদানের কারনে ঐতিহ্যবাহী কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী অভিভাবকরা। শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব এবং প্রধান শিক্ষককে অপর শিক্ষক কর্তৃক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বিদ্যালয়টিতে।
ফতুল্লার বক্তাবলীতে ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে খারাপ সময় অতিক্রম করছে বিদ্যালয়টি।
২০১৭ সালে জেএসসি পরীক্ষায় ২ শ’ ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে মাত্র একজন ছাত্রী এ প্লাস পায়।
সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ও ছিলো নিদারুন হতাশা ব্যাঞ্জক। ১ শ’ ৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় আংশ গ্রহন করে কেউ জিপি এ ফাইভ পায়নি। যেখানে সারা দেশে শিক্ষার মান উচ্চ পাশের হারের কারনে এ প্লাসের ছড়াছড়ি। সেখানে কোন শিক্ষার্থী এ প্লাস না পাওয়াকে শিক্ষকদের গাফিলতি, ক্লাস ফাঁকি, কোচিং বানিজ্য, দায়িত্বে অবহেলাকেই প্রধান কারন বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার কারনে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকরাই প্রধান শিক্ষকের কোন নির্দেশ মানেন না। যার প্রায় সকল সিনিয়র শিক্ষকরাই সময়মত বিদ্যালয় আসেন না, আবার সময়ের আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। যারা সময় মত আসেন তারা সকলেই নিজের কোচিং কিংবা প্রাইভেট বানিজ্যের জন্য আসেন।
শিক্ষকদের চেইন অব কমান্ড এতটাই ভেঙ্গে পড়েছে প্রধান শিক্ষক অন্য সহকারী শিক্ষকদের দ্বারা লাঞ্চিত হয়েছেন। লাঞ্চিতকারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্বে তার ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াসহ ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অভিযোগ ও রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক এতটাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বছরের পর বছর বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও নির্মানের জন্য অর্থ আদায় করলে ও একটি পয়সার উন্নয়ন হয়নি বিদ্যালয়ের। ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ের একটি শ্রেনী কক্ষের জানালা ভেঙ্গে ৬ জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়টির জরাজীর্ন অবস্থা ফুটে উঠেছে ছাদ ও দেওয়ালের আস্তর পলেস্তার খসে পড়ে। গত মঙ্গলবার জানালা ভেঙ্গে ছাত্রী আহতের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হোসনে আরা জানান, তিনি শ্রেণী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে প্রধান শিক্ষক তাকে অসৌজন্যমূলক আচরন করে তাঁড়িয়ে দেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, আপনাদের যারা এসব বিষয়ে জানিয়েছে তারা ভুল বলছে। বিদ্যালয়ের সংস্কারের অভাবে জানালা ভেঙে পরেছে স্বীকার করেন তিনি। এছাড়া শিক্ষার মান নিয়ে বলেন, প্রতিবছরই যে ভালো রেজাল্ট আসবে এমন নয় মাঝে মাঝে একটু খারাপ হতে পারে।