আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাঁচাপাট একমাসের বেশীসময় মজুদ করা যাবে না

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ -১ ( রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন,  অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে কাঁচাপাটের ডিলার/আড়তদারগণ ১০০০ মণের বেশী কাঁচাপাট ০১ (এক) মাসের বেশীসময় ধরে মজুদ করতে পারবে না। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।       

বুধবার ২০ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) ও বাংলাদেশ জুট স্পীনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দেরে সাথে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট  মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ জুট মিলস্ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, বাংলাদেশ জুট স্পীনার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদ মিয়াসহ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশে কাঁচাপাটের সংকট তৈরীর কারণে পাটকলসমূহ উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এজন্য লাইসেন্স বিহীন অসাধু ব্যবসায়ীগণকে কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ হতে বিরত রাখা; ভিজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা; বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে ।

এছাড়াও, চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচবছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে । সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না। এ পাট মৌসুম থেকে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু হবে। ধাপে ধাপে তা আগামী পাঁচবছরে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উচ্চফলনশীল পাট বীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন এবং মানসম্মত পাট উৎপাদনে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধকরণ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচি (এডিপি)-এর আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর প্রত্যক্ষভাবে ১,৫৩,০০০ পাটচাষী ও পরোক্ষভাবে ৬,১২,০০০ কৃষক ও পরিবারের সদস্য উপকৃত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৬৬৮.১১ কোটি ডলার আয় করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০.৫৬ শতাংশ বেশি। আর তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৯.২৯ শতাংশ বেশি।