সংবাদচর্চা রিপোর্ট: রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতাস্থ আয়কর অফিস সংলগ্ন একটি কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা করোনাভাইরাস সংক্রমন ঝুঁকির মধ্যেও খোলা রাখার খবর পাওয়া গেছে । ৯৬ স্কয়ার ফুটের ছোট কক্ষে শিশু শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস রুম রাখা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষে গাদাগাদি করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বসিয়ে প্রচন্ড গরমের মাঝে ক্লাস চালু রেখেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ছোট এসব কক্ষের প্রতিটিতে ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী বসানো হয়েছে। তেমন নেই মাক্স ব্যবহার ও সামাজিক দুরত্ব । তাছাড়া মঙ্গলবার জন্মাষ্টমীর সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলেও মহিউস সুন্নাহ মডার্ণ মাদ্রাসা চালু রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে । এতে এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর মা জানান, এটি নামেই মাদ্রাসা। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সিলেবাস ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া নিয়মের কোনো বালাই নেই। সরকারি ছুটির দিনও এ মাদ্রাসা খোলা রাখা হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সরকারী নির্দেশনা সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। এ করোনা সংক্রমণকালেও মাদ্রাসা খোলা রেখেছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের সংক্রমনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিশু শিক্ষার্থীরা করোনা সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই। মাক্স বাসা থেকে দেয়া হলেও মাদ্রাসায় গিয়ে খুলে রাখে। তাছাড়া শিক্ষক ও শিক্ষিকাও তেমন মাক্স ব্যবহার করেন না।
আরেক অভিভাবক জানান, গত তিন বছরে এ মাদ্রাসার নাম তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথম মর্ডাণ ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা, পরে মডার্ন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা , সবশেষে মহিউস মডার্ন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা নামে কার্যক্রম চালাচ্ছে । মাদ্রাসার অধ্যক্ষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মোল্লা একটি অনলাইন পোর্টালকে জানান, ভুলতা এলাকায় করোনা ভাইরাস নেই। তাই মাদ্রাসা খোলা রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি ছুটির বিষয়টি জানা ছিল না। তাছাড়া শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়েই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হয়। ছোট ক্লাসরুমগুলো অচিরেই বড় করা হবে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান সংবাদচর্চাকে জানান, অভিযোগ পেলে সরকারী বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন হাফিজিয়া মাদ্রাসা, হিফজখানার কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ১২ জুলাই থেকে কওমী মাদরাসাসমূহের হেফজ বিভাগগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ৮ জুলাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। ঐ মাদ্রাসা কওমী মাদরাসাসমূহের হেফজ বিভাগ কি না তা এখন দেখার বিষয়।