সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
শীতলক্ষা নদীর তীরে গড়ে ওঠা রূপগঞ্জ উপজেলাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ১ আসন গঠিত। রাজধানীর পাশ্ববর্তী শিল্প অঞ্চল খ্যাত রূপগঞ্জের গুরুত্ব সকল দলের কাছেই রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে রূপগঞ্জে ২১ বছরে তেমন কোন উন্নয়ন করে নাই।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামানকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে সবাইকে অবাক করে দেন নবাগত গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ফাইল নিয়ে ছুটাছুটি করেন।রূপগঞ্জ বাসির জন্য গোলাম দস্তগীর গাজী আদায় করে নিয়ে আসে তিনটি মেগা প্রকল্প। রূপগঞ্জে নির্মিত হয়েছে ভূলতা ফ্লাইওভার সুলতানা কামাল সেতু তৃতীয় শীতলক্ষা সেতু। তিনি স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা মন্দির কৃষি চিকিৎসা রাস্তাঘাটের সর্বকালের সেরা উন্নয়ন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রূপগঞ্জ উপজেলায় বরাদ্দকৃত সকল প্রকল্পের বাস্তবায়নে অতি স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার পরিচয় দিয়েছে গোলাম দস্তগীর গাজী।যা দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুশি।তার নামে নেই কোন দুর্নীতি চাঁদাবাজি মাদক ব্যবসার অভিযোগ। রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজী ক্ষমতায় আসার আগে এখানে কোন আ.লীগের পাটি অফিস ছিলো না।
বর্তমান সরকারে টানা দশ বছরের ক্ষমতা কালে গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জের প্রত্যেকটা পাড়া মহল্লা আ.লীগের বিভিন্ন সংগঠনের পার্টি অফিস নির্মাণ করে দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আ.লীগের মনোনিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। বিএনপির ঘাটি খ্যাত রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে।
তৃণমূল আ.লীগের নেতাকর্মীদের সাপ্তাহে তিন দিন সময় দিচ্ছে গোলাম দস্তগীর গাজী। বৃহষ্পতিবার শুক্রবার শনিবার রূপসীর গাজী ভবন আ.লীগের নেতা কর্মীদের পদচারণায় জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের ৩৮ জন নেতাকর্মীর মধ্যে ৩২ জন গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। রূপগঞ্জে নারী নেতৃত্বে বিপ্লব ঘটিয়েছে গোলাম দস্তগীর গাজী।তিনি নারী সমাজের আস্থা অর্জন করেছেন। আগামী নির্বাচনে গাজীর ভোট ব্যাংক হিসেবে নারীদেরকে ভাবা হচ্ছে।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে ইমাম মুয়াজ্জিন পুরুহিতদের সরকারি বেতন ভাতার আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করায় গোলাম দস্তগীর ইমাম মুয়াজ্জিন পুরুহিতদের আস্থা অর্জন করছে। শুধু তাই নয় রূপগঞ্জে নারী শ্রমিকদের হোটেল নির্মাণের জন্য জাতীয় সংসদে দাবি উত্থাপন করেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী।
গোলাম দস্তগীর গাজীর দাবি মেনে নিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি দ্রুত সময়ের মধ্যে মহিলা হোটেল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। হোটেল নির্মাণের খবর রূপগঞ্জে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা সহ সর্বস্তরের শ্রমিকরা গোলাম দস্তগীর গাজীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বর্তমানে শিল্প অঞ্চল খ্যাত রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজী জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে।
এদিকে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রূপগঞ্জে বিএনপির কোন্দল চরমে। এখানে বিএনপির তিন জন হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে। তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান,বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এড.তৈমূর আলম খন্দকার,বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দীপু ভূইয়া। মনোনয়ন ইস্যুতে তাদের তিন জনের দ্বন্দ্ব চরমে।মাঝে মাঝে দলীয় কর্মসূচিতে তারা পৃথকভাবে পালন করছে। বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে বিএনপির প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে। রূপগঞ্জে কোন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা জয় লাভ করতে পারছে না।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রূপগঞ্জে বিএনপির কোন নেতাকর্মী মাঠে দেখা যাচ্ছে না।তাতে ক্ষুব্ধ বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা।তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে দাড়াচ্ছে না সিনিয়র নেতারা। অনেকেই বিএনপি ছেড়ে আ.লীগে যোগ দিচ্ছে। এদিকে রূপগঞ্জে এমপি গাজীর উন্নয়ন দেখে হতাশ বিএনপি। নির্বাচনী বছরে নিজেদের কোন্দলে দিশেহারা বিএনপি।
রাজনৈতিক বিশ্লষকরা মনে করছে, রূপগঞ্জে বিএনপির কোন্দল এভাবে চলতে থাকলে তাদের কর্মীদের ভবিষতে মহাবিপদে পরতে হবে। এক দিকে সরকারি দলের সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জের উন্নয়ন এবং সামাজিক সেবামূলক কাজের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করছে। আগামী নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজী চালকের আসনে থাকবে।
