আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এটা ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় অর্জন : পাপন

বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, এই জয় শুধু ক্রিকেট না ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় অর্জন।’ এই টিমটা দেশের সেরা টিম।  লাল সবুজের অদম্য এই দলটি শুধুই খেলার জন্য খেলে না বরং প্রতিটি ম্যাচই জয়ের জন্য খেলে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি’র টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা , মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস ও সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন।

তিনি বলেন, বিশ্বকাপ শিরোপা সে তো আর যে সে অর্জন নয়। অনেক সাধনার ফসল। যার জন্য ৩৩টি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। অনেকেই জানেন, ২০১৬ সালে সেই শিরোপার খুব কাছে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাধায় ঘরের মাটিতেই ফাইনালের দর্শক বনে গিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজরা। তার আগেও হয়নি। সাকিব-তামিম-মুশফিকরাও পারেননি।

কেন এমন হচ্ছে বারবার? সেই ভাবনা পেয়ে বসে বিসিবিকে। এরপর নড়ে চড়ে বসে গত দুই বছর নিবিড় পরিচর্যায় তাদের গড়ে তোলা হয়। এই দুই বছরের বেশির ভাগ সময় তাদের কেটেছে দেশের বাইরে। কখনো ইংল্যান্ডে কখনো নিউজিল্যান্ডে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করে ২৪ মাসে অনূর্ধ্ব-১৯ দল মোট ৩০ টি ম্যাচ খেলেছে। যা কিনা শ্রীলংকা এবং ভারতের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ। সেই ফসলই গতকাল পচেফস্ট্রুম থেকে ঘরে উঠেছে বলে মনে করেন পাপন।

‘আমরা একটা জিনিস বুঝতে পেরেছিলাম কোথায় ঘাটতি ছিল। সেটা মাথায় রেখে আমরা চিন্তা করি এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই যদি পরিকল্পনা করতে পারি আলদাভাবে কিছু করা যায় কিনা। সেই ধারাবাহিকতায় অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করি। বিদেশের কন্ডিশনে ভালো করতে পারি না। সেজন্য অনেক ওয়ানডে খেলিয়েছি। এই দলটা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো সেটা আমরা জানতাম।’

‘দ্বিতীয়ত এই দলের সবচেয়ে বড় ব্যাপার যেটি শুধু ফাইনাল না প্রত্যেকটা ম্যাচ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে যখন ত্রিদেশীয় খেললাম, নিউ জিল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ। সবসময় টিম অ্যাফোর্ট ছিল। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ওপর কিন্তু এই দলটা না। অনেক ভাল স্কিল আছে। ভালো খেলোয়াড় আছে। সরাক্ষণ মনে হয় টিম খেলছে। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হচ্ছে ওরা জেতার জন্য খেলে। প্রত্যেকটা বল অ্যাকশন দেখলে মনে হয় জেতার জন্য জানটা দিয়ে দিয়েছে। ফিল্ডিং ফিটনেস অসাধারণ।’

এছাড়া খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রশংসা করেছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।