আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড.মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১১ বছরে এক টাকাও সারের দাম বাড়ে নাই। চিরদিন আমরা খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিলাম। আমরা দুর্ভিক্ষের দেশ ছিলাম। সারা পৃথীবি জানতো বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষের দেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ন। শুধু তাই না আজকে খাদ্যে সারপ্লাস।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আড়াইহাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম মাজহারুল হক অডিটোরিয়ামে এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে ধানের দাম এতো কম যে, চাষীরা ধান বিক্রি করতে পারে না। আমি কৃষিমন্ত্রী হিসেবে এটা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। এক মণ ধান উৎপাদন করতে লাগে ৬ থেকে ৭শত টাকা। কৃষক ৫ থেকে ৫৫০টাকায় বিক্রি করতে পারে না। কৃষকের দাম দিতে পারছি না। দাম যখন বাড়ে গরীব মানুষের কষ্ট হয় । দাম কমলে চাষীভাইদের কষ্ট হয়। এটা উভয় সংকট।
তিনি বলেন, সারের দাম কমানো হয়েছে। ৯০ টাকা ছিল ডিএপি। ২০০৮ সালে আমরা ক্ষমতায় এসেছে করেছি ২৫ টাকা। ডিএপি সার এখন ১৬টাকা। টিএসপির দাম ছিল ৮০ টাকা। আমরা করেছি ২২টাকা। পটাসিয়াম সারের দাম ছিল ৬০টাকা। আমরা করেছি ১৫টাকা। আলুর উৎপাদন বাড়ছে । প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে কৃষকদের কষ্ট থাকবে না। কৃষি আবাদ করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তার জন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।
সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসন সংসদ সদস্য আব্দুল আজিজ, আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার, ইউএন সোহাগ হোসেন, ডাক্তার সায়মা আফরোজ ইভা, আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র সুন্দর আলী, গোপালদী পৌরসভার মেয়র আব্দুল হালিম সিকদার, উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, আড়াইহাজার পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ মোল্লা, আওয়ামী লীগ নেতা মোজ্জামেল হক জুয়েল, থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী রাকিবুল ইসলাম জুয়েল, যুগ্ম-আহবায়ক জসিম উদ্দিন, থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মামুন অর রশীদ, আড়াইহাজার সরকারি সফর আলী কলেজের সাবেক ভিপি নাঈম আহমেদ মোল্লা, ভিপি আমীর হোসেন প্রমুখ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু।