সংবাদচর্চা রিপোর্ট : ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। পবিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চায় সবাই। তবে যারা পরিবার ছেড়ে কারাগারে দিন যাপন করছেন, তাদের বিষয়টি একটু ভিন্ন। চাইলেও পারছেন না পরিবারের কাছে ছুটে যেতে, প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে।
প্রতি বছরের মতো এবার নারায়নগঞ্জ কারাগারে থাকবে কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা। ঈদের দিন তিন বেলা ভালো খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বন্দিদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কারা সূত্র জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে ঈদের নামাজ কারাগারের ভেতরেই আদায় করেন কারাবন্দিরা। ঈদের দিন বন্দিদের নামাজ আদায় করার জন্য আলাদাভাবে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
খাবারের মধ্যে ঈদের দিন সকালে বন্দিদের নাশতায় ছিল পায়েস-মুড়ি। দুপুরে বন্দিদের জন্য সাদাভাত, রুই মাছ আর আলুর দম, আর রাতের বিশেষ আয়োজনে ছিল পোলাও, গরু অথবা খাসির মাংস, ডিম, কোমল পানীয়, মিষ্টান্ন এবং পান-সুপারি।
নারায়নগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার সুভাব ঘোষ বলেন, ঈদ উপলক্ষে কারাবন্দিদের জন্য তিন বেলাই বিশেষ খাবাবের আয়োজন করা হয়েছে। বন্দিরা যেন কারাগারের ভেতরেই ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেজন্য আমরা সকালে ঈদ জামাতের আয়োজনও করেছি।
দিনশেষে এবারও কারাগারে বন্দিদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। এই অনুষ্ঠানে কারাবন্দিরাই গান-বাজনা করে আনন্দ উপভোগ করবেন। সেই সঙ্গে কারাগারের খোলা ময়দানে খেলাধুলারও সুযোগ ছিল বলে সূত্রটি জানায়।
এদিকে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তিন কয়েদিকে ঈদ উপলক্ষে চাঁদ রাতেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- এনামুল, সুরমা মন্ডল এবং মো. ওমর আলী। তাদের আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জুন মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও ঈদ উপলক্ষে দুইদিন আগেই মুক্তি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, জেল কোর্ট অনুযায়ী তাদের তিনজনকে ঈদের আগে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন কারাবরণের পর এই ঈদটা যেনো পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারে সেই মানবিক দিক বিবেচনা করেই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।