আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঈদযাত্রা বাস লঞ্চে স্বস্তি, ট্রেনে দুর্ভোগ মৃত্যু ঝুঁকি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাই ছুটছে নাড়ির টানে জন্মভূমি গ্রামের বাড়িতে। রাজধানীসহ পাশ্ববর্তি নারায়ণঞ্জে শিল্প অঞ্চল থাকায় অধিক মানুষের বসবাস এই শহরে। বিভিন্ন এলাকার কর্মরত দক্ষিন উত্তরাঞ্চলের মানুষের যাতায়ত পথ বাস,লঞ্চ ও রেলপথ। তাই বাস ও নৌ-পথের লঞ্চে বেড়েছে যাত্রীদের ভীড় তবে দুর্ভোগ ছাড়াই যেতে পারছে মানুষ। অপরদিকে রেল পথে উপচে পড়া ভীড় ও চরম ভোগান্তি পরেছে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা পথের যাত্রীরা। পড়ছে সিডিউল বিপর্যয়।
গত কয়েক দিন ধরে বিশেষ করে সোমবার বিপুলসংখ্যক মানুষ নারায়ণগঞ্জ ছাড়ছেন এজন্য অতিরিক্ত যাত্রী দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। কারণে রাজধানীতে মানুষ কমে গেছে। বাস, ট্রেন ও লঞ্চে মানুষের ভিড় ছিল লক্ষ্যে করার মতো। তবে এবার ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত ঘরে ফেরা মানুষদের বাসে ও লঞ্চে ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। তবে ট্রেনে অনেক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ থেকে যে সকল বাস গুলো ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলে সে গাড়ি গুলোতে উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়নি। স্বস্তিতে যাত্রীরা যাতায়াত করছে তবে সড়ক পথে শুরু দূর্ঘটনায় হয়ে গেছে মৃত্যুর মিছিল। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ থেকে পটুয়াখালী, চাদঁপুর, মতলব মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার নৌ পথের যাত্রীরাও স্বস্তিতে লঞ্চে উঠতে পারছেন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল পথ দিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ষ্টেশনে ট্রেন থামানো পর যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্যনীয়। ইঞ্চিনের পর থেকে কয়েকটি বগির ছাঁদে শিশু থেকে বৃদ্ধা নারী পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উঠে যাতায়াত করছে। ছাঁেদ ও ইঞ্চিনেও যাত্রীরা অবস্থান নেয় এক-তৃতীয় অংশ। নিরাপত্তা জনিত কোন চিত্র দেখা যায় না এই রেল পথে। এছাড়া যাত্রীদের ভোগান্তির চরম পর্যায় বিশেষ করে নারী যাত্রীরা ধাক্কা ও নিপীরিত হচ্ছে। গ্রামের অভিমুখে মানুষের ঢলে ভোগান্তি নিত্য দিনের সঙ্গি হয়ে পড়েছে। ট্রেন যাত্রীরা মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।