সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বৃষ্টি ভেজা দুর্ভোগ মাড়িয়ে ট্রেন ও বাসে চড়ে ছুটছে মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে। আর এজন্য দেশের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাসগুলোতেও উপচে পড়া ভীড়। ঈদের বাকি আর মাত্র দু’দিন। ছুটির গুটি কয়েক দিন স্বজনদের সাথে গ্রামে কাটানোর উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। শহরের কর্মজীবী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ ছুটছে গ্রামে।
গত শুক্রবার থেকেই বাড়ি ফেরা মানুষের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা গেছে বাস ট্রেন ও নৌ-পথে। আজ এ ভিড়ের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করছেন বাস মালিক এবং রেল কর্তৃপক্ষ। ।
সৌদিয়া চেয়ার কোচ সার্ভিসের কর্মকর্তা সাইদুর জানান, দূর পাল্লার যাত্রীদের সাতক্ষীরা, বেনাপোল, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, ঈশ্বরদী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বৃহত্তর বরিশাল, মাগুরা, যশোর, খুলনা, বরগুনার রুটে প্রচুর ভিড় ছিল। গত শুক্রবার থেকে চাপ বেড়েছে। আমরা আগে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করেছি। টিকেট অনুযায়ী যাত্রীরা যাচ্ছেন। ঈদের আগের দিন ভিড় আরো বাড়বে।
এদিকে চাষাড়া স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেনের অনেক যাত্রী। ট্রেনের ভেতরে বসার সুযোগ না পেয়ে যাত্রীরা ছাদে ওঠার কথা জানান। রেল কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনও এসময় অনেকটা নিরুপায়। তাদের সামনেই দরজা জানালা দিয়ে ছাদে উঠছে লোকজন। কেউ কেউ আবার মই দিয়ে ছাদে উঠছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেলওয়ে কর্মকর্তা বলেন, তাদের কিছুই করার নেই। কিছু করতে গেলেই যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। আমরা শুধু অনুরোধ করছি, ছাদে না ওঠার জন্য।
সৌদিয়া বাসের যাত্রী মফিজুর রহমান জানান, প্রতি বছরই সড়ক পথে নানা দুর্ভোগ মাড়িয়ে ঈদে বাড়ি ফিরতে হয় ঘরমুখো মানুষদের। এবারও সড়কের অবস্থা তেমন ভালো নয়। তারপরও পরিবার পরিজন নিয়ে আগে ভাগেই যাচ্ছি।
নৌ-পথে একই দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নৌপথে মানুষ একাকার হয়েগেছে। পা রাখার জায়গা নেই। গাদাগাদি করে নৌপথে মানুষ উঠছে। কতৃপক্ষের কোন বারন মানছেনা যাএীরা। মাঝ পথে কি ঘটবে সেই হিসাব নিকাশ ও কসছেন না। উদেশ্যে একটাই নারীর টানে কিভাবে গন্তব্যে পৌছাবে। তবে সকলের একটাই প্রত্যাশা যেভাবে হোক বাড়ি যেতেই হবে।