আজ শুক্রবার, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ইরানে বাড়ছে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ

ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৫% শতাংশে উত্তীর্ণ করার ঘোষণা দিয়ে আজ রোববার দ্বিতীয়বারের মতো পরমাণু চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসলো । ছয় বিশ্বশক্তির দেশের সঙ্গে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে এই মাত্রা ৩.৬৭% শতাংশে সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি ছিল তেহরানের।

তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি চুক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ইউরোপকে ৬০ দিনের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হওয়ার পর এই ঘোষণা এলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া শেষ হবে। এবং তার পরই আমরা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৩.৬৭% থেকে ৫% শতাংশে উত্তীর্ণ করার কাজ শুরু করে দেব।’

২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার জন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল। শর্ত ছিল, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার বিনিময়ে তার ওপর দেওয়া অবরোধ ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে।

সেই শর্ত রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে চুক্তিটি পরিত্যক্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর কঠোর শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করে। তবে মে মাসে ইউরেনিয়াম মজুদ বাড়িয়ে ইরান এর জবাব দেয়।

ইরান এই ইউরেনিয়াম পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে। তবে তারা পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে বলে সন্দেহ রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা যায় এই মানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ করতে পারবে না।

কিন্তু যতটুক ইউরেনিয়াম ইরান মজুদ করতে পারবে, তার বেশি এরই মধ্যে দেশটির কাছে এখন আছে এবং এর পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে বলে একটি ঘোষণা এসেছে ইরানের কাছ থেকে।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পারমাণবিক চুক্তিটি রক্ষায় সব পক্ষের সঙ্গে আবার আলাপ শুরু করতে কী ধরনের শর্ত থাকতে পারে, তা নিয়ে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্লেষণ শেষ করবে ইরান ও ফ্রান্স। সব পক্ষের সঙ্গে সে ব্যাপারে পরামর্শ করবেন ম্যাক্রো।

ইরান তার ওপর আরোপ করা অবরোধ শিথিল করতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল।