আজ বুধবার, ২০শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ২

আড়াইহাজার প্রতিনিধি:
আড়াইহাজারে এক গৃহবধূকে গণধষর্ণের ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ  । এরা হলো স্থানীয় গাজীপুরা মুকুন্দী এলাকার সাহাদ আলীর ছেলে মোবারক (২৮) ও আলাউদ্দিনের ছেলে ইয়াকুব। তাদের শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহম্পতিবার ওই নারী দাবী হয়ে ছয় আসামি করে একটি মামলা করেছেন। অপর আসামিরা হলো একই এলাকার সাহাদ আলীর ছেলে সেলিম, ছালামের ছেলে মাঈনউদ্দিন, কফিল উদ্দিনের ছেলে সোহেল ও নিজামউদ্দিনের ছেলে আবুল। তবে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ধর্ষিতা  এদিকে খবর পেয়ে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-সি) আফসারউদ্দিন খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তির পরিবারের লোজনের দাবী মোবারক ও ইয়াকুবকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তারা ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলনা। তারা নির্দোষ।

ইয়াকুবের বোন তাছলিমা জানান, ধর্ষণের মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার নির্দোষ ভাই ইয়াকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি জড়িত নন। সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।  এ সময় দুই পরিবারের লোকজনকে থানা ফটকে আহাজারি করতে দেখা গেছে। আড়াইহাজার থানার ওসি’র দায়িত্বে থাকা শফিকুল ইসলাম বলেন, নির্দোষ কাউকে হয়নারি করা হবে না। মামলা তদন্ত কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত. ওই নারীকে এলাকার চার বখাটে র্দীঘদিন ধরে মোবাইলে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তাতে তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন না। ৬ই মে সন্ধ্যায় তিনি বাড়ির বাইরে বের হলে একা পেয়ে সেলিম তাকে মুখ চেপে ধরে কাপড় পেঁচিয়ে পাশেই একটি পুকুর পাড়ে একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিল একই এলাকার আবুল, সোহেল ও নাঈমউদ্দিন। তার সহযোগিরা তার হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে রাখে সেলিম তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় নাঈমউদ্দিন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।

তিনি আরো জানান, সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি পরিবারের লোকজনের কাছে গোপন রাখেন। কিন্তু সংঘবদ্ধ এ ধর্ষকচক্র ধারণকৃত ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার হুমকী দিয়ে তাকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।