আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে অভিলাস পরিবহণের দাপট যত্র তত্র যাত্রী উঠা নামা, ৭৫ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা

আড়াইহাজার প্রতিনিধি:-নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অভিলাস পরিবহণের দাপটে যাত্রী সাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। যত্র তত্র যাত্রী উঠানামা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও লক্কর ঝক্কর অবস্থার করণে যাত্রী সাধারন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ভাড়া নিয়ে তর্ক বিতর্ক করে প্রতিনিয়ত হেলপারদের কাছে লাঞ্ছিত হচ্ছেন যাত্রীরা।

উপজেলার ৭ লাখ লোকের রাজধানী ঢাকা, জেলা শহর নারায়ণগঞ্জ সহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়তের জন্য রয়েছে মাত্র ৪০ টি বাস। বাস গুলোর সব ক’টি হচ্ছে অভিলাস পরিবহণের। অন্য কোন কোম্পানীর বাস এখানে আসতে দেয়না অভিলাস পরিবহন। আর এ সুযোগে তাদের ইচ্ছা মত ভাড়া আদায়, যত্র তত্র যাত্রী উঠা নামা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা, যখন তখন গ্যাস নেওয়া ইত্যাদী স্বেচ্ছা চারিতার মাধ্যমে যাত্রী সাধারণ কে অতিষ্ট করে তুলছে   অভিলাস কর্তৃপক্ষ।

আড়াইহাজারের গোপালদী বাজার এবং বিশনন্দী ফেরী ঘাট থেকে বাস গুলো ঢাকার সায়েদাবাদ পর্যন্ত যাতায়ত করে থাকে। গোপালদী বাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভাড়া ৭৫ টাকা। বিশনন্দী ফেরী ঘাট থেকেও ঢাকা পর্যন্ত একই ভাড়া নির্ধারিত। কিন্তু ঈদুল আযহার পর থেকে এ যাবত উভয় স্থান থেকে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ১ শ টাকা করে। তা ছাড়া প্রতি ঈদের ২ দিন আগে থেকে ১৫ দিন পর পর্যন্ত যাত্রী যেখান থেকেই উঠুক বা যেখানেই নামুক ভাড়া ১শ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। আড়াইহাজার থেকে সায়েদাবাদের ভাড়া ৬৫ টাকা নির্ধারিত থাকলেও ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ১শ টাকা করে। প্রায় সময়ই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে ভদ্রলোক যাত্রীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে তাদেরকে লাঞ্ছিত করছে বাসের হেলপার ও চালক। কোন কোন সময় যাত্রীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ও ঘটে যায়।

যাত্রীরা মান সম্মান খোঁয়ানোর ভয়ে হেলপারের চাহিদা অনুযায়ী ভাড়া দিতে বাধ্য হয়। অভিলাস পরিবহণ সিটিং সার্ভিস হলেও আসন পূর্ণ হবার পরও যতক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে লোক গাাঁদা গাঁদি না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত বাস ছাড়ে না। তা ছাড়া লোকাল সার্ভিসের মত যেখানে খুশি থামিয়ে লোক উঠা নামা করানো হয়। যাতায়তের পথে বাসে গ্যাস নেওয়া নিষেধ থাকা সত্যেও যাওয়া আসা দু সময়েই ফিলিং ষ্টেশনে  গাড়ী থামিয়ে  গ্যাস নেওয়া হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের সময় ব্যায় হওয়া সহ তারা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভোগেন। তা ছাড়া পথে পথে রয়েছে চেকারদের যত্র তত্র গাড়ী থামিয়ে টিকিট চেক করার মত এক বিরক্তিকর পরিস্থিতি। অভিলাস পরিবহণের আসন গুলো ভাঙ্গা, অপরিষ্কার এবং বাস গুলো লক্কর ঝক্কর। যাত্রীরা বসেও শান্তি পায় না। ভাঙ্গা অসনের কারণে কোমড়ে ও দেহের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা অনুভব করে। বিশিষ্ট লোকদের বক্তব্য অনুযায়ী এ পথে কমপক্ষে ১ শ বাস চলাচল করা দরকার। কিন্তু অভিলাস পরিবহণ কর্তৃপক্ষ  এখানে অন্য কোন বাস সার্ভিস আসতে দিচ্ছে না।

এ ব্যাপারে অভিলাস পরিবহণের এমডি মিজানুর রহমানের সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, ঈদের কারণে সামিয়ক সমস্যা হচ্ছে। ঈদের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।