সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
মাঠে নয় আদালতপাড়ায় সক্রিয় বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা। তবে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মাঝে দলীয় কোন্দল থাকায় মাঠ পর্যায়ে নেতাদের মতো অস্তিত্ব সংকটে পরতে পারেন বলে আশঙ্কা সাধারণ বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের। বিএনপির বর্তমান কর্মসূচি পালন করছে ধীরগতিতে। বিএনপি নেতারা যেসব কর্মসূচি নিজ উদ্যোগে নিচ্ছেন সেগুলোও সেভাবে সফল করতে পারছেন না।
ঘটনা সূত্রে প্রকাশ, বিএনপি ক্ষমতায় নেই এক যুগেরও অধিক সময় ধরে। এ সময়ে হামলা, মামলায় শিকার হয়ে যখন অস্তিত্ব সংকটে দলটির প্রধান প্রধান নেতাকর্মীরা, ঠিক তখনই নিজেদের আইন পেশাকে পুজি করে স্বাচ্ছন্দে নিজের কর্মকান্ডের পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন। কিন্তু দলীয় কোন্দল এবং গ্রুপিংয়ের কারনে মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মতো অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে বলে ধারনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল “গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনজীবী” নামক ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ শাখা’র উদ্যোগে ৪৫ মিনিটের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালাম পন্থী আইনজীবীরা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন গোটা ২০জন আইনজীবী, আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন এড. তৈমূর আলম খন্দকার। জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেও আইনজীবীদের ঐক্য ঘটাতে ব্যর্থ হন তিনি। অনেক আইনজীবীই বলেছেন, আদালতে মোট আইনজীবীর অর্ধেকেরও বেশি হচ্ছে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী। কিন্তু তৈমূরকে দেখে তারা সাড়া দেননি।
বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দলে বিশৃঙ্খলা তৈরির ইন্ধন যুগিয়েছিলেন তৈমূর। রূপগঞ্জ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে শেষতকে মনোনয়ন না পেয়ে টকশোতে গিয়ে বলেছিলেন নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুলবেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন কথাই তিনি বলেননি। আবুল কালাম মামলা হাজিরা দিতে আদালতে হাজির হলে তাকে অনুরোধ করে তৈমূর। আর আবুল কালাম কে দেখেই উপস্থিত আইনজীবীরা অনশনে হাজির হন। কিন্তু মহানগর বিএনপির হেভিওয়েট নেতা এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সাখওয়াত হোসেন খানকে সেই কর্মসূচিততে আনতে ব্যর্থ হন তিনি।
অচিরেই নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের নিজেদের কোন্দল না মিটালে আদালতেও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিবে বলে আশঙ্কা সাধারণ বিএনপি আইনজীবীদের।
তবে অনেকের মতে একটি রাজনৈতিক দল এই ভাবে চলতে পারে না। কেন্দ্রীয় বিএনপি সহ নারয়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বার বার বলছেন দেশের গণতন্ত্র উধাও হয়ে গেছে। তাদের এই মানসিক অবস্থার প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক বোদ্ধামহলের অভিমত বর্তমান বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কিংবা গণতন্ত্রের চর্চা কতটুকু করছে। এছাড়া আদালতপাড়া বিএনপির আইনজীবীরা বিভক্ত হয়ে গেছে। আদালতপাড়ায় বিএনপির প্রতিপক্ষ এখন বিএনপি। খালেদার মুক্তির দাবিতে তারা একত্রে হতে পারছে না।