আড়াইহাজার প্রতিনিধি
আড়াইহাজারে বিএনপিতে মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তার্জতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। সাবেক এমপি আঙ্গুরের দিকে দলটির নেতাকর্মীদের অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন। এতে তিনি বেশ বেকায়দায় পড়েছেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌঁঝাপ করলেও তার প্রতি দলীয় অসোন্তষ নেতাকর্মীরা। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পুলিশ একাধিক মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়েছেন। এসব মামলায় অনেকেই কারাগারে রয়েছেন। অনেকেই আবার বাড়ি ঘর ছেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নেতাকর্মীদের পাশে দাড়িয়েছেন নজরুল ইসলা আজাদ। তিনি নেতাকর্মীদের আর্থিক সহযোগিতা করাসহ নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে আসছেন।
আড়াইহাজার পৌরসভাধীন নাগড়াপাড়া এলাকার বিএনপির সিনিয়র নেতা আবু দায়েন বলেন, বিএনপির দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের নানাভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ। তিনি বর্তমান সময়ের একজন উপযুক্ত নেতা। আড়াইহাজারে বিএনপিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে এখানে আজাদের কোন বিকল্প নেই। তিনি দলের নেতাকর্মীদের পাশে অতত্রপ্রহরীর মতই পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার কাছে আড়াইহাজার থানা বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীরা চীরঋণি। তিনি আরও বলেন, সদ্য পুলিশের দায়ের করা একটি গায়েবি মামলায় আড়াইহাজারের চারনেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেই ক্ষান্ত হয়নি। তাদেরকে পুলিশ একদিনের রিমান্ডে এনে নির্যাতন করেছে। নজরুল ইসলাম আজাদ ব্যতিত তাদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। তিনি আর্থিক সহযোগিতা সহ নানাভাবে পরিবারগুলোতে সাহায্য করেছেন। হাজার হাজার টাকা খরচ করে জেল জুলুমের হাত থেকে নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন।
এদিকে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের যুবদলেল নেতা মঞ্জুর হোসেন বলেন, বেশ কিছু দিন আগে লতব্দি এলাকার বাবুল নামে এক নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো। পরে তার জামিনের জন্য সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরের কাছে আমিসহ আরো বেশ কয়েক জন নেতাকর্মী গিয়েছিলাম। সাবেক এমপির কাছে মাত্র ১০ হাজার টাকা চওয়া হয়েছিল বাবুলের জামিনের খরচ হিসেবে। কিন্তু আঙ্গুর একটি টাকাও দেয়নি। সেই থেকে তার পিছনে রাজনীতি থেকে সরে গিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আঙ্গুরের বেইমানির কারণে দলের আড়াইহাজারের আসনটি হাত ছাড়া হয়ে গেছে। তিনি (আঙ্গুর) প্রকাশ্যেই দলীয় প্রার্থী এএম বদরুজ্জামান খসরুর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ দলের সঙ্গে করে মামলা ও হামলা থেকে ক্রমশই রেহায় পাচ্ছেন সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। বিগত ১/১১-এর সময়ও এইনেতা ‘বেনিফিশিয়ারি’ ছিলেন। সেমসয় দলটির হেভিওয়েট নেতারা সেনা শাসনের কবলে পড়ে জেলজুলুম ও মামলার আসামি হয়েছেন। সাবেক এমপি আঙ্গুর ওই সেনা সরকারের সাথে সূর মিলিয়ে হয়ে যান সংস্কারপন্থী। তাতে তিনি সরকারের রোষানল থেকে রেহায় পেয়ে যান। ঈদের পর আড়াইহাজার থানায় পুলিশের দায়ের করা গায়েবি মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বিএনপি হাজারো নেতাকর্মীর। অনেকে পুলিশের ভয়ে পরিবার-পরিজন রেখে রাতে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। সরকারি দলের অনুকম্পায় মামলা থেকে রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন। ধোকাবাজ ও সংস্কারপন্থি সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। স্থানীয় দলটির নেতাকর্মীরা যখন হামলা মামলায় নাজেহাল, ঠিক তখন মামলাবিহীন দিন কাটাচ্ছেন আঙ্গুর। বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে আগে ও পরে নারায়ণগঞ্জে ২৩টি মামলায় কয়েক হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আড়াইহাজারেও একাধিক মামলা হয়েছে। কিন্তু আঙ্গুরকে একটি মামলারও আসামি করেনি আড়াইহাজার থানার পুলিশ। অন্যরা যখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নজরুল ইসলাম আজাদ অভিযোগ বলেন, পুলিশের সঙ্গে আতাঁত করে হামলা মামলা মুক্ত রয়েছেন আঙ্গুর। আমাকেসহ আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। প্রতি রাতেই নেতাকর্মীদের বাড়িতে প্রতিদিন পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছেন।