আজ রবিবার, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আগামী ৭ মের মধ্যে চাকরি কোটা নিয়ে সিদ্ধান্ত:ওবায়দুল কাদের

আগামী ৭ মের মধ্যে চাকরি

আগামী ৭ মের মধ্যে চাকরি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে জানান আগামী ৭ মের মধ্যে চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এ বিষয়ে অন্য কেউ যদি কিছু বলে থাকে সেটা তার ব্যক্তিগত মতামত। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী হিসেবে  এ কথা বলেন।

গতকাল রাতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সেটাই সরকারের বক্তব্য।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর ৭ মের মধ্যে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। সরকারের এমন আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি আগামী ৭ মে পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা করেন। অবশ্য এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিল।

তবে সরকারের দু’জন মন্ত্রীর বক্তব্যে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। আগের সন্ধ্যায় সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত থাকা ২০ নেতাই সকালে সংবাদ সম্মেলন করে একজন মন্ত্রীর বক্তব্য বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহারের আলটিমেটাম দেন। বক্তব্য প্রত্যাহার না হওয়ায় সন্ধ্যায় বিভেদের রেখা মুছে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতেই রাতে সরকারের পক্ষে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিবৃতি দেন।

ভিসির বাসায় ওবায়দুল কাদের

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনের পরিস্থিতি ঘুরে দেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি চাকরির কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে রাজনীতির অন্ধবিদ্বেষ ঢুকেছে। ওই আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলায় জড়িতরা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক হত্যাযজ্ঞ চললেও ভিসির বাসভবন সেদিন আক্রান্ত হয়নি। অথচ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর সেই ঘটনা ঘটল।

দোতলা বাসভবনের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ বাড়িতে দগদগে ক্ষতচিহ্ন, চিনি না কারা আক্রমণ করেছে। বেডরুম রক্ষা পায়নি, সব তছনছ হয়ে গেছে। বাথরুমের কমোড পর্যন্ত অক্ষত নেই। স্বর্ণের গহনাও লুট হয়ে গেছে। বাড়ির আসবাবপত্র সব বাইরে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কেমন বর্বরতা?

হামলায় জড়িত অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত চলছে, যারা ক্রিমিনাল অফেন্ডার এরই মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে, বাকিরাও চিহ্নিত হবে। এ হামলার বিচার করতেই হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসির বাড়িতে ওই হামলা যে পরিকল্পিত ছিল, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নষ্ট করে দেওয়া তার প্রমাণ।

এ সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে থাকা ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ ইতিমধ্যে ভিসির বাড়িতে হামলার ঘটনার অনেক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। আরও প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এর আগেও যারা ফেসবুকে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘উস্কানি দিয়েছে’ তাদের বিষয়েও পুলিশ কাজ করছে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক শামীম, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।