মনি ইসলাম:
ঈদ আসবে মানুষ নারীর টানে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ কাঁটাতে নারায়ণগঞ্জের যানজটের শহর থেকে একটু শান্তির পরশ পেতে ছুটছে নিজ জেলা বা নিজ গ্রামে। আর সেই সুযোগে পরিবহন মালিকরা নিয়মের চেয়ে দ্বিগুন ভাড়া বৃদ্বি করে সব ঈদেই। ঈদ আসলে পরিবহণ ভাড়া বৃদ্ধি পাবে তা নতুন কিছু নয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।যদিও আইন শৃঙ্খলা কমিটি সভায় জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া বলেছিলেন, ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কিন্তু জেলা প্রশাসকে এমন হুশিয়ারীর পরেও আইনের কোন তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন পরিবহন তাদের ইচ্ছে মত ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। তাছাড়া ভাড়া বৃদ্ধি করা পরিবহণগুলোর প্রতি সাধারণ যাত্রীদের প্রতি রয়েছে নানা অভিযোগ।
চাষাড়া আল মোবারক পরিবহণ ও সোনালি পরিবহণ টিকেট কাউন্টারে টিকেট বিক্রেতা রেজাউল করিম সংবাদচর্চাকে জানায় ভাড়া বৃদ্ধি সর্ম্পকে। আলমোবারক পরিবহণ সিলেট ৫৫০ টাকা পূর্বে ৪৭০ টাকা,বগুড়া মোকাতলা,পলাশবাড়ী,গাইবান্ধা, নাকাইহাট ৬০০ টাকা পূর্বে ৪০০ টাকা। রবিউল করিম আরো জানায় গাড়ি যখন কোনো জায়গায় যান সেখান থেকে গাড়িটি আবার যখন ফিরে আসে গাড়িটি খালি অবস্থায় ফিরে আসলে গাড়ির মালিকের অনেক লস হতে পারে তাই ঈদের মৌসুমে গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শ্যামলী পরিবহণের টিকেট কাউন্টটাওে টিকেট বিক্রেতা আক্তারুজ্জামান বলেন,কুড়িগ্রাম,দিনাজপুর ৯০০ টাকা,যা পূর্বে ছিলো ৬০০ টাকা, রাজশাহী ৮০০ টাকা যা পূর্বে ছিলো ৫৫০ টাকা, কুষ্টিয়া ৭৫০টাকা যা পূর্বে ছিলো ৫০০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায় ১৫ মে থেকে যাত্রীদের কাছ খেকে পবিত্র ঈদ উল ফিতর থেকে গাড়ি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুনের ও বেশি এমনটি অভিযোগ করছে যাত্রীরা।যাত্রী সেলিম রেজা বলেন আমি ও আমার ছোট ভাই যাচ্ছি রাজশাহীতে শ্যামলি পরিহন দিয়ে। আমাদের দু’জনের গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকা ।আমি ৪ তারিখে টিকেট কিনে ছিলাম কিন্তু আগেই আমার অফিস ছুটি হয়ে গেছে বলে আমরা আজই চলে যাচ্ছি । তারিখে আগে চলে যাওয়ার জন্য আরো আমাদের দিতে হয়েছে ২০০ টাকা বেশি । আমরা ২টি টিকেট কাটছি মোট ২ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে ।তবে পূর্বে এই ২টি টিকেট কিনতে পারতাম ৯০০ টাকা দিয়ে। দুঃখ জনক বিষয় আমাদের কাছ থেকে ১৭০০ টাকা অতিরিক্ত বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যুথিকা সরকার মোঠো ফোনের মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই আপনারা দেখেছেন পরিবণের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে আমরা বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট করেছি । তবে কোনো পরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধি করার জন্য কেউ কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেনি। যদি কোনো পরিহণের ভাড়া বৃদ্ধি করা নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করলে আমরা তার ব্যবস্থা নিবো। তবে আমি এখন আমার গ্রামের বাড়িতে আছি আপনি এ বিষয়ে আরো ভালো ভাবে জানার জন্য নাহিদা বারিক আছে তার সাথে যোগাযোগ করুন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক বলেন, আপনি যখন ফোন করেন তখন আপনার কথা বোঝা যায় না । আপনার কথা যখন বোঝা যাবে আপনি তখন আমাকে ফোন করবেন । সংবাদচর্চা তার কথার উত্তরে বলেন সবাই কথা বুঝতে পারলে আপনি কথা বুঝতে পারছেন না কেনো ?তখন নাহিদা বারিক বলে হ্যাঁ বলন, প্রথমত আমি একজন ইউএনও । গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে এটা দেখা আমার কাজ নয়।দ্বিতীয়ত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আছে আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন। তৃতীয়ত এটা নিয়ে মোবাইল কোর্ট হচ্ছে।