বিশেষ প্রতিবেদক:
সাধারণত অয়ন ওসমানের সাফাই গাইতে দেখা যায় জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহরিয়া রেজা হিমেলকে। রাজনৈতিক ভাষণ কিংবা ফেসবুকে অয়ন ওসমানের সুনাম গাইতে গাইতে মুখে ফেনা তুললেও প্রচার-প্রচারণার সময় নেতাকে রাখেন ক্ষুদ্র আকারে। অর্থ্যাৎ শহরময় বিলবোর্ড কিংবা ব্যানার লাগিয়ে নিজেকে জাহির করতে গিয়ে নেতার ছবি ছোট আর নিজে থাকেন বিশাল আকৃতির। সমসাময়িক এসকল বিষয় আর শহর ও আশপাশের এলাকায় হিমেলের সাটানো ব্যানার নিয়ে ফুসে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
কিছুদিন পূর্বে নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশের এলাকায় ব্যানার ও ফেস্টুন লাগিয়েছেন হিমেল। যার সংখ্যা গুনে শেষ করা সম্ভব নয়। ফতুল্লার স্টোডিয়াম এলাকা থেকে শুরু করে শিবু মার্কেট, পূর্ব সস্তাপুর, পশ্চিম সস্তাপুর, দক্ষিণ সস্তাপুর, কায়েমপুর, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের দু’পাশ, চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু সড়কের দুই পাশসহ অসংখ্য স্থানে নিজের বিশাল আকৃতির ছবি সম্বলিত ব্যানার লাগানো হয়েছে। যাতে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কোন ছবি তো নেই তার উপর অয়ন ওসমানের ছবি দেয়া হয়েছে খুবই ছোট করে। আর এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, অয়ন ওসমান মানেই ছাত্রলীগ। টাকা আছে বলেই যা খুশি তা করা যাবে না। নিজেকে জাহির করতে অসংখ্য স্থানে ব্যানার লাগিয়ে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছেন হিমেল। অথচ, যার কারণে সে এখন ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে আছে তার ছবি রেখেছেন ছোট করে। বিজ্ঞাপন বোর্ডেও তার ব্যানার লাগানো হয়েছে। যেখানে শুধু তাকেই দেখা যায়, বাকি কাউকে ঠিক মতো চেনা যায় না। শুধু অয়ন ওসমানই নয় বরং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাংসদ শামীম ওসমানকে শুধু নিয়ম রক্ষার্থে রাখা হয়েছে। এগুলো করে কি বোঝাতে চাইছেন তিনি তা কারোরই বোধগাম্য নয়। তাই অনতিবিলম্বে এসকল ব্যানার অপসারণ করা উচিৎ বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মতে, প্রত্যেকটি সংগঠনেরই নিয়ম-কানুন রয়েছে। কোন নেতা বা কর্মী যদি তার সংগঠনের অভিভাবককে ভুলে যায় তাহলে সে নেতা হওয়ার কোন যোগ্যতা রাখে না। শাহরিয়া রেজা হিমেলের ক্ষেত্রে এটি একটি দাম্ভিকতা বলাচলে। ব্যানারে ছোট-আকারে নয় বরং অয়ন ওসমানের ছবি বিশাল আকৃতির করে তার ছবি ছোট করা দেয়া উচিৎ ছিলো।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরপরই স্থানীয় এক নেতার হাত ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয় হিমেল। যদিও এর আগে তাকে ব্যবসায়ী বলেই এলাকাবাসী চিনতো। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পরপরই সাংসদ শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমান সহ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে সে। ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে নিজেকে ক্লিন ইমাজধারী প্রমাণ করার চেষ্টায় থাকা হিমেলের নামে রয়েছে মাদক সেবনের অভিযোগ। কিছুদিন পূর্বে ফেসবুকের কল্যানে হিমেলের মাদক সেবনের একটি ছবিও পাওয়া গেছে।