সংবাদচর্চা রিপোর্ট: চনপাড়াকে ক্রাইম জোনে রূপ দিয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকু শমসের। তিনি সেখানে অপরাধ জগতের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। প্রত্যেকটা অপরাধের সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ডাকু শমসের জড়িত রয়েছে। তার আগে পিছে থাকে সন্ত্রাসী বহর। তার ইশারায় চনপাড়ায় সব হয়। তার আদেশ অমান্য করলে নেমে আসে নির্যাতনের খড়ক। করা হয় হত্যা। চনপাড়াবাসীর কাছে তিনি মূর্তমান আতঙ্ক। তার বাবা হাসমত আলী দয়াল ছিলেন একজন রিক্সা চালক। চনপাড়ায় কিশোরগঞ্জের একজন ভাঙ্গারীর ব্যবসা করতো। সেই ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীর মাল রিক্সায় করে আনা নেওয়া করতো দয়াল। তার ভাঙ্গারীর মাল চুরি করে চনপাড়া ৯ নং ওয়ার্ডের কবরস্থানের পাশে ভাঙ্গারীর দোকান দিয়েছেন দয়াল। রূপগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার যত চোরাই মাল আছে সব ঐ দোকানে বিক্রি করা হয়। একটি প্রভাবশালী মহলকে মাসিক চাঁদা দিয়ে ভাঙ্গারীর দোকানকে টিকে রেখেছেন শমসের।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙ্গারীর দোকান থেকে তিনি মাদক ব্যবসা করেন। তিনি এখন কোটি টাকার মালিক।
শমসেরের পেশা মাদক ব্যবসা , চুরি, ডাকাতি , মানুষ খুন করা। তার রয়েছে বিশাল একটা চোরের গ্যাং।
অনুসন্ধানে জানা গেছে , শমসের তার গ্যাং দিয়ে শিল্প অঞ্চল তারাব পৌর এলাকার বিভিন্ন কল কারখানায় চুরি করান। বিদ্যুৎ না থাকলে কলকারখানার এসি, মটর, ফ্যান, ব্যাটারীসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি করে চোরের দল শমসেরের কাছে জমা দেয়। পরে তার বাবা দয়ালকে দিয়ে ভাঙ্গারীর দোকানে রেখে সেই চোরাই মাল অন্যত্র বিক্রি করে দেন তিনি। মা এবং স্ত্রীকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করান শমসের । তিনি ফেন্সিডিল,গাঁজা,ইয়াবা এনে তাদের কাছে জমা দেন। পরে তারা বিক্রি করে। গত ১৫ দিন আগে মাদক মামলায় শমসেরে মা মোরশেদা বেগম প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
শমসেরের সেকেন্ড ইন কমান্ড ফারুক। সে ফারুককে দিয়ে ডাকু ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করায়। ডেমরা ,রূপগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন ডাকু ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রাখে ফারুক। সম্প্রতি মুড়াপাড়া বাজারে ডাকাতি করতে এসে গণধোলাই খেয়ে নিহত হয়েছে ফারুকের দুইজন লোক। লেডি ডন স্বপ্নার বিশেষ সহকারী শমসের। মলমপার্টির সর্দার তিনি। ৪ টি হত্যাসহ ২ ডজনের অধিক মামলা রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী শমসেরের নামে। বর্তমানে সে চনপাড়ায় ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। বাইরে থেকে সু কৌশলে শমসের চনপাড়াসহ সারা রূপগঞ্জে ইয়াবা সরবরাহ করে। রূপগঞ্জের এক প্রভাবশালীর চেলাপেলাদের তিনি ফ্রি ইয়াবা দেন বলে জানা গেছে। তার ইয়াবায় ধ্বংস রূপগঞ্জের যুব সমাজ, স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদ বাড়ছে। বিভিন্ন সময় তিনি নারী ব্যবসা, জুয়ার আসরেও সহযোগিতা করে থাকেন। চনপাড়ায় অপরাধ জগতের সম্রাট হয়েও একটি প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে তিনি এখনো অধরা রয়েছেন।
চনপাড়ার শিক্ষিত সমাজের দাবি , ডাকু শমসেরকে প্রশাসন গ্রেফতার করলেই চনপাড়াসহ সারা রূপগঞ্জে ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। চুরি, ডাকাতি কমে আসবে। থাকবে না মলমপার্টির অত্যাচার। এছাড়া প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসী এই শীর্ষ সন্ত্রাসীর শাস্তি দাবি করেছেন।