ডেস্ক রিপোর্ট: অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দেশের ২৭টি জেলার দেড় শতাধিক উপজেলার ৫৭ লাখ ১৯ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর বন্যায় সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত ৯৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বাংলাদেশ সচিবালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল।
সভায় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক কাজী শামছুদ্দীন আহমেদ জানান, ভারত, নেপাল ও চীনের উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং অতিবৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দফার বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ১০ দিন বৃষ্টিপাতের ধারা কম থাকবে। তবে এর পরে আবারও অতিবৃষ্টি হতে পারে এবং এর প্রভাবে আবারও একইরকম বন্যা হতে পারে।
সভায় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলা হয়, বন্যার পানি নামতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি, বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হবে। যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামোর মেরামত-সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
সভায় জানানো হয়, দেশের মহাসড়কগুলো এখনও চলাচলের উপযোগী রয়েছে। তবে জেলা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন আগামী কোরবানির আগে ঠিক করা সম্ভব হবে না। দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ বন্যা আক্রান্ত যে সমস্ত জেলা থেকে পানি নেমে যাচ্ছে সে সব জেলায় পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে। একইসঙ্গে ওইসব জেলার কৃষি, অবকাঠামো মেরামত ও সংস্কার কার্যক্রম শুরু হবে।
সভায় আরও বলা হয়, এখন সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ওএমএস কার্যক্রম জেলা-উপজেলা হয়ে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত প্রসারিত করা হবে। এনজিওগুলোকে ঋণের টাকা আদায় স্থগিত করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়।
সবাই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল বলেন, যে কোনও দুর্যোগে দুর্গতরা শতভাগ ত্রাণ পায় না। দরিদ্রসীমার নিচে বাসকারী মানুষ ত্রাণ পেয়ে থাকেন। এদের শতভাগও ত্রাণ পায় না; ত্রাণ পায় এদের শতকরা ২৩ জন মানুষ।