সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রাত থেকে বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিকশা চালকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। অন্যদিকে জলাবদ্ধতায় রিকশা চালানো অনেক কষ্ট ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় বাড়তি ভাড়া নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চালকরা। গতকাল সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেয়া যায়। বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে। শহরের গলাচিপা, মাসদাইর, দেওভোগ, ভূঁইয়ারবাগ, নন্দীপাড়া, বোয়ালিয়া খাল, জামতলসহ কোথায় পায়ের গিরার উপরে আবার কোথায় হাঁটুসমান পানি জমেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই অলিগলিসহ মূল সড়কে পানি জমেছে। অফিসগামী মানুষ নির্ধারিত স্থানে যাওয়ার জন্য রিকশা ঠিক করতে গেলে কয়েকগুণ ভাড়া চাইছেন চালকরা। ভাড়া নিয়ে রিকশা চালকদের সঙ্গে যাত্রীদের কিছুটা বাকবিতণ্ডাও দেখা গেছে।
গলাচিপা এলাকার যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, বৃষ্টি হলেই রিকশা চালকদের দাম বেড়ে যায়। তারা ২০ টাকার ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকারও বেশি চায়। মোট কথা বৃষ্টি এলে রিকশা চালকরা মানুষদের জিম্মি করে ভাড়া আদায় করে। মাসদাইর বাজার থেকে কালির বাজার যাবেন সাগর কাজী। রিকশা ভাড়া ৬০ টাকা চাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেলো তাকে। তিনি বলেন, ‘এখান থেকে অন্যান্য সময়ে রিকশা ভাড়া ২০টাকা। সেই ভাড়া বেড়ে ৬০ টাকা হয়ে গেলো?।
তাহমিনা আক্তার নামের এক যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, বৃষ্টি হলেই রিকশা ও অটোরিকশা চালকদের দাম বেড়ে যায়। তারা ১৫ টাকার ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকারও বেশি চায়। মোট কথা বৃষ্টি এলে রিকশা চালকরা মানুষদের জিম্মি করে ভাড়া আদায় করে। দিনমজুর শ্রমিক হারুন অর রশিদ আকাশ। তিনি চাকরি করে বিসিক শিল্প নগরী এলাকায়। বৃষ্টির সকালে কর্মস্থলে যেতে তারও পোহাতে হয়েছে ভোগান্তি। মাসদাইর বাজার থেকে প্রতিদিন বিসিক ১নং গেইটের সামনে ১০টাকায় অটোতে যায়। কিন্তু সেখানেই যেতে আজ তার গুনতে হয়েছে ৫০ টাকা। সময় মতো কর্মস্থলে না গেছে বেতন কেটে দেয় মালিক পক্ষ। তাই বাধ্য হয়েই ১০টাকার ভাড়া ৫০টাকা দিয়ে যেতে হয়েছে। ভাড়া বেশি রাখার কারণ জানতে চাইলে এক রিকশা চালক আক্কাস (ছদ্ম নাম) বলেন, ‘রাস্তায় হাঁটুসমান পর্যন্ত পানি। এর মধ্যে রিকশা চালানো অনেক কষ্টের, সময়ও লাগে বেশি। তাই স্বাভাবিক সময়ের থেকে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।