সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
পৃথক দুটি গোষ্ঠীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আতাউর রহমান মুকুল। আসন্ন বন্দর উপজেলা নির্বাচনী বৈতরণী তিনি পেরুতে পারলে বন্দরের পাশাপাশি শহর কেন্দ্রিক রাজনীতিতেও ফ্যাক্টর হয়ে উঠবেন উপেজলার সাবেক এই চেয়ারম্যান। অনেকের মতে, এবার যদি তিনি ভোটের বৈতরণী পার হতে পারেন তাহলে আগামী দিনে বড় একটি অংশের নেতৃত্বে চলে আসবেন তিনি।
সূত্র বলছে, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের প্রার্থী এম এ রশিদ। গতবারও তিনি এই পরিবারের সমর্থনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার অবশ্য জয়ী হতে হলে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই জয় ছিনিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ভোটারদের মতে, সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিপরীতে বেশ শক্ত অবস্থানেই আছেন আতাউর রহমান মুকুল। যদিও তার বিরুদ্ধে বিএনপির বড় একটি অংশ অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে ওসমান পরিবারের বিরোধীতার মুখেও পড়তে পারেন তিনি। কেননা, এই পরিবার চাইবে তাদের প্রার্থীর জয়। তারা কখনই তাদের সমর্থিত প্রার্থী রশিদ পরাজিত হোক, চাইবে না। কেননা, রশিদের পরাজয় মানে তাদেরও পরাজয়। ফলে এই প্রার্থীর পরাজয়ে বন্দরে ইমেজ সঙ্কটে পড়বে তারা। সুতরাং স্বীয় স্বার্থে রশিদের জয় নিশ্চিত করতে আধাজল খেয়েই মাঠে নামবে প্রভাবশালী এই পরিবার।
এদিকে বিএনপি ঘরোয়ানা হলেও এই দলের ভেতরেই বড় একটি অংশ তার কট্টর বিরোধী। এই অংশটি আগামী দিনের রাজনীতির নানা সমীকরণে মুকুলের পরাজয় প্রত্যাশী। কেননা, মুকুল যদি ভোটের রাজনীতিতে উতরে যান তাহলে বর্তমানে যারা বিএনপির মহানগর কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন আগামীতে তাদের হাত থেকে নেতৃত্ব চলে যেতে পারে।
সূত্র বলছে, ত্রিমুখি বিরোধীতার পরও যদি মুকুল নির্বাচিত হোন তাহলে কেন্দ্রের কাছে স্পষ্ট হবে তার জনপ্রিয়তা। এতে করে দল চাইবে তার মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিকেই। এমনকী আগামী দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অগ্রাধিকারও পাবেন এই নেতা। এমন সমীকরণ যখন রাজনীতির মাঠে তখন তার জয়ের রথ থামাতে চাইবেন নিজ দলেরই কতিপয় নেতারা। ইতোমধ্যে তারা সেভাবেই মাঠে কাজ করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে বন্দরের ভোটের মাঠে আপত চার প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন আতাউর রহমান মুকুল। তার পরের অবস্থানে রয়েছেন মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। আর ওসমান পরিবারের প্রার্থী এম এ রশিদকে ধরা হচ্ছে তৃতীয় হিসেবে। ফলে রশিদের জয় নিশ্চিত করাটাই এখন ওসমান পরিবারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে রশিদকে নির্বাচিত করতে হলে মুকুলকে ঠেকানোর বিকল্প নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ওসমান পরিবার মুকুলকে থামাতে পারবেন কিনা।