আজ শনিবার, ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঈদের পর পূর্নাঙ্গ কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার :

ঈদুল ফিতরের পর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন হবে বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে। যদিও সুনির্দিষ্ট দিন তারিখের কথা এখনো জানা যায়নি। সূত্রের দাবি, সভাপতি আবদুল হাই পূর্নাঙ্গ কমিটির একটি খসড়া কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। তবে, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের পক্ষ থেকে সারা পাওয়া যাচ্ছে না। তিনিও কেন্দ্রে পৃথক ভাবে খসড়া তালিকা পাঠাবেন বলে সূত্রটি জানিয়েছেন। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আব হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রে তালিকা পাঠানো হয়নি বলে জানা গেছে।

তথ্য মতে, সভাপতি আবদুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের সাথে পূর্নাঙ্গ কমিটি নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে। এটিকে অনেকে মেরুগত বিভেদ হিসেবেও আখ্যায়িত করছেন। দুজন পৃথক ভাবে কেন্দ্রে খসড়া তালিকা পাঠানোয় এই বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

দলের নেতারা বলছেন, তাদের মাঝে মতপার্থক্য না থাকলে একটি খসড়া কমিটি পর্যালোচনা করেই পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়ে দিত কেন্দ্র। কিন্তু মতপার্থক্য থাকায় দুজনই পৃথক ভাবে কেন্দ্রে খসড়া তালিকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; যা ইতিমধ্যেই সভাপতি আবদুল হাই কেন্দ্রে পাঠিয়েও দিয়েছেন। দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ঈদের পর জেলা আওয়ামী লীগের এই পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের জটিলতার অবসান ঘটতে পারে।

জানা গেছে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে পূর্বের নেতৃত্বই বহাল রেখেছে কেন্দ্র। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটির খসড়া করতে বলা হলেও দীর্ঘ ছয় মাসেও তা হয়ে উঠেনি।

রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মাঝে বিবাদ বেশ পুরনো। স্থানীয় যেকোন নির্বাচন কিংবা কমিটি গঠন; সর্বত্রই এই বিবাদ দৃশ্যমান হয়। যার প্রভাব ছড়িয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে মেরুগত টানাপোড়েন চলছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল পৃথক দুটি বলয়ে রয়েছেন। ফলে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের মাঝে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের একাধিক নেতাকর্মী।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান করে নিতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন পদ প্রত্যাশীরা।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের একাধিক এমপি, মেয়র ও হেভীওয়েট নেতারা চাইছেন তাদের অনুসারীদের দ্বারা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে। এরমধ্যে, এমপি শামীম ওসমান ও তার অনুসারীরা একাট্টা হয়েছেন। অন্যদিকে, সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং তার সমর্থিত নেতৃবৃন্দরা চাইছেন কমিটিতে তাদের অনুসারীদের দ্বারা পূর্নাঙ্গ কমিটি সাজাতে। দুই পক্ষের উদ্দেশ্য এক হলেও তা সাধনে বিপত্তি দেখা দিয়েছে।

জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, ‘আমি কেন্দ্রে খসড়া তালিকা জমা দিয়েছি। নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন হবে। যোগ্য লোকদেরই পূর্নাঙ্গ কমিটিতে আনার জন্য কাজ করছি। যেন দল উপকৃত হয় এবং শক্তিশালি হয়।