স্টাফ রিপোর্টার
শহরের চাষাঢ়ায় নিঝুম বিউটি পার্লারের মালিক বিউটিশিয়ান সাদিয়া নিঝুর রহস্যজনক মৃত্যু। তার মা ডালিয়া হায়দার জানিয়েছেন, নিঝু উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়েবেটিসের রোগী ছিলেন। হয়তো ছাদে হাটতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গেছে। রোববার দুপুরে শহরের চাষাঢ়ায় বহুতল ভবন থেকে পড়ে এ নারীর মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনার পর তার স্বামী কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র শাহজালাল বাদলকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে ওই দিন রাতে জিজ্ঞেসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা যায়।
এদিকে প্রথমে আটকের বিষয়টি গোপন রাখলেও পরে তা নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
জানা গেছে, নিঝু শহরের চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকায় রাজু প্যালেস নামের ৭ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতো। তার সাথে তার মা ও ছেলে বাস করতো। এ ভবনের তৃতীয় তলায় ও সান্তনা মার্কেটে নিঝু পার্লারের মালিক তিনি। তার স্বামী কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র শাহজালাল বাদলের সঙ্গে তার বণিবনা ছিলো না। স্বামীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন নিঝু। গতকাল রোববার দুপুরে তার মরদেহ ভবনের নীচে পাওয়া যায়। ভবনের নীচতলায় মেলা ফুড জোন নামের রেস্তোরার মালিক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জানান, দুপুর সাড়ে বারোটায় ভবনের পেছনের দিকে ভারী কিছু পড়ে যাবার শব্দ পাই। সেখানে গিয়ে দেখি সাদিয়া নিঝু পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, দুপুর পৌনে ১ টার দিকে এ নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, এটি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যাই বুঝা যাচ্ছে। কাউন্সিলর বাদলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, শাহজালাল বাদল একাধিক বিয়ে করেছেন। মৃত নারীকে ভরণ পোষণ দিতেন না। সেক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্ররোচনার বিষয় আছে কি-না তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়।
প্রসঙ্গত, শাহজালাল বাদল আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের ভাতিজা। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন এবং তিনবার ধরে কাউন্সিলর। বর্তমানে সে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের দুই নম্বর প্যানেল মেয়র।