টি.আই.আরিফ
জেলা বিএনপিতে গ্রুপিং । কোণঠাসায় বিএনপি নেতারা। সতর্ক অবস্থানে আওয়ামী লীগ। জাতীয় নির্বাচনে ঘিরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজনীতিতে। ঢাকার খুব কাছে রূপগঞ্জ। আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যেক দল রূপগঞ্জকে টার্গেট করে। সেই রূপগঞ্জে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ। রূপগঞ্জ থেকে রাজনৈতিক সাপোর্ট পাচ্ছে ঢাকা। আওয়ামী লীগের ঢাকায় যেকোন কর্মসূচি সফল করার জন্য রূপগঞ্জের ভূমিকা অপরিসীম। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখছে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ,বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, সহ-সভাপতি ও তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা ,রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাছিনা গাজী । ঢাকা থেকে ডাক পড়লে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার নেতৃত্বে ঝাপিয়ে পড়ে। তার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ঢাকায় যায়। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বড় মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগ,ছাত্রলীগের সমাবেশে যোগদান করেন মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। তার মিছিল দেখে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারাও তার প্রশংসা করছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার মিছিলের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া যুব মহিলা লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে রূপগঞ্জ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করেন তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী।
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রূপগঞ্জের রাজপথ দলে রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। ৩০ টি স্পটে প্রতিবাদ মিছিল করেন মন্ত্রী। যা নারায়ণগঞ্জের অন্য এমপিদের করতে দেখা যায়নি। ক্ষমতাসীন দলের দাপটে রূপগঞ্জ থেকে ঢাকায় লোক নিতে পারেনি বিএনপি। এ কথা দলটির একাধিক নেতা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও কড়া বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
গণমাধ্যমে মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, সমাবেশের নামে বিএনপি, জামায়াতকে কোন প্রকার নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, বিএনপিকে ছাড় দেওয়া হবে না। দেশ বিরোধী সকল অপশক্তিকে রাজপথে মোকাবেলা করা হবে। রূপগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ মাঠে প্রস্তুত। এছাড়া শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরাও যার যার এলাকায় সতর্ক রয়েছে। দলটির নেতারা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপর দিকে রূপগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি নিয়ে দলটির নেতাদের মধ্যে গ্রুপিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নেতাদের দ্বন্দ্বে আটকে আছে রূপগঞ্জ থানা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি।