সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলগুলোর মাঝে এ নিয়ে কোন উত্তাপ নেই। তবে কারা হচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য তা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আলাপ-আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনা,বিশ্লেষন শুরু হয়েছে। এ আলোচনায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। সংগঠনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে দলের অভ্যন্তরে নির্বাচন সংক্রান্ত তৎপরতা শুরু করেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল হাই এবার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বৃহস্পতিবার ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে বেশ দাপুটের সাথে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সাথে নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় অফিস সেক্রেটারি আলাউদ্দিন সাহেবের নিকট দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তানভীর হাইসহ অনেকে। এর আগে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয়ের সামনে আবদুল হাইয়ের সমর্থকরা মিছিল করেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর সানিধ্য পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা আজ দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমাকে একবার জেলা পরিষদের প্রশাসক করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি এবার আশাবাদী নেত্রী আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন। ভোটারদের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। নারায়ণগঞ্জে আমাদের দলীয় ২ জন এমপির সাপোর্ট পাচ্ছি। মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় আমার সাথে ২৫ থেকে ৩০ জন ভোটার উপস্থিত ছিলেন। ফতুল্লা , রূপগঞ্জ,বন্দর ,আড়াইহাজার, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ মহানগরে আমার ভোট আছে। আমি যখন জেলা পরিষদের প্রশাসক ছিলাম নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছি। কোনো বিতর্কিত কাজ করিনি।