আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলা শাখা। গত ৭ আগস্ট বিকাল ৫টায় চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাসদ জেলা সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাসদ সোনারগাঁ উপজেলার সমন্বয়ক বেলায়েত হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম জেলার সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলার সভাপতি মুন্নি সরদার।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জ¦ালানি তেলের দাম কমে এসেছে তখন আমাদের সরকার রেকর্ড পরিমান তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের সময়ে জ¦ালানির মূল্য বৃদ্ধি জনজীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে আসবে। জ¦ালানির মূল্যবৃদ্ধি নিত্যপণ্যের মূল্য আরও অনেক বাড়িয়ে দেবে। কৃষি উৎপাদন ব্যয়ও অনেক বাড়বে। ইতোমধ্যে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির কার্যকর হয়েছে।

তারা আরও বলেন, বিপিসি গত ৮ বছরে ৪৮ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। গত কিছুকাল তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি থাকায় সরকার লোকসানের কথা বলে এ দাম বৃদ্ধি করল। দাম বৃদ্ধি করার কারণ হিসাবে ভারতে তেল পাচারের কথাও বলেছে। ভারতে নিয়মিত আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে দাম সমন্বয় করে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে যাওয়ায় ভারতেও দাম কমে যাচ্ছে। এখানে পাচারের কথা বলা দাম বৃদ্ধিও একটি অজুহাত মাত্র। ক্রুড অয়েলের দাম এখন আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে আরও কমবে। তেল থেকে সরকার শতকরা ৩২ টাকা কর নেয়। বিপিসির বিগত দিনের বিপুল পরিমান লাভ বিবেচনায় নিয়ে এবং কর কমিয়ে সরকার জনজীবনের বিপর্যয়ের কথা বিবেচনায় তেলের দাম না বাড়ালেও পারত। পেট্রোল এবং অকটেন দেশে উৎপাদন হয়। এর দাম বৃদ্ধির আসলে যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ নেই। শোনা যাচ্ছে আইএমএফ এর শর্ত পূরণের জন্যই এক লাফে এ মূল্য বৃদ্ধি করা হল। দেশের শ্রমজীবী মানুষের মজুরি বাড়েনি, মধ্যবিত্তের আয় বাড়েনি, জ¦ালানি তেলের ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জ¦ালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে শুরু হয় পরিবহনের নৈরাজ্য। গতকাল সরকার দূরপাল্লার বাসে ২২.২২ শতাংশ এবং নগরে ১৬.২৭ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু বাস মালিকরা স্বেচ্ছাচারীভাবে অনেক বেশি পরিমাণে ভাড়া আদায় করছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে মালিকরা ৪৫ টাকার ভাড়া ৪৪.৪৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৬৫ টাকা আদায় করছে। পরিবহন মালিকদের কাছে সরকার-প্রশাসনকে সবসময়ই নমনীয় দেখা যায়। বক্তারা অবিলম্বে জ¦ালানি তেলের ও পরিবহনের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।