আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চাষাঢ়ায় বিএনপির সমাবেশে সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্থানীয় এক নেতাকে বক্তব্য দিতে না দেয়ায় নারায়ণগঞ্জে জেলা বিএনপির সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ জুলাই) বিকেলে নগরীর চাষাঢ়ায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। (সুত্র : সময় সংবাদ)।

বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানিখাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে সারা দেশে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়াজন করে জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে দুপুর একটা থেকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও নেতা-কর্মীদের আসা শুরু হয় দুইটা থেকে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আলাদাভাবে এই সামাবেশে যোগ দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা একে একে বক্তব্য দিতে থাকলে স্থানীয় এক নেতাকে বক্তব্য দিতে না দেয়ায় তার কর্মী-সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে শহীদ মিনারের মূল ফটকের সামনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই তারা হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। লাঠিসোটা নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। অন্তত দশ মিনিট ধরে চলা এই সংঘর্ষ পরে জেলার সিনিয়র নেতারা হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা যুবদলের এক নেতা বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ের এক নেতাকে সমাবেশে বক্তব্য দিতে না দেয়ায় তার কর্মী-সমর্থকরা আয়োজকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে হাতাহাতি, লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে আমাদের সিনিয়র নেতারা তাদের মিলিয়ে দেন। (সুত্র সময় সংবাদ)।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমি দুপুর বারোটা থেকে মঞ্চে ছিলাম। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে রিসিভ করছিলাম। কোথাও মারামারি হয়েছে বলে আমার জানা নাই। দলের কেউ আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।’